ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে যেসব চিকিৎসক জীবন বাজি রেখে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের জন্য বোনাস হিসেবে ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে এ অর্থ ছাড় করা হবে বলে জানা গেছে। ঈদের আগেই অতিরিক্ত উৎসাহ বোনাস বা ঝুঁকিভাতা হিসেবে এ অর্থ পাবেন চিকিৎসকরা। অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকাসহ সারা দেশে যেসব হাসপাতালকে কভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো এবং যেসব হাসপাতালের কোরোনা ইউনিট রয়েছে, সেখানে যেসব চিকিৎসক দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে যারা ২৪ ঘণ্টাই দায়িত্ব পালন করছেন, শুধু তারাই এ সুবিধা পাবেন। এদিকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরাও এ সুবিধার আওতায় পড়বেন।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের করোনার ডেডিকেটেড হাসপাতালে আফরোজা বেগম নামের এক মহিলা রোগী জানিয়েছেন, সেখানে যে চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা করেছেন এবং করোনার পরীক্ষা চেয়েছেন, তাদের জন্য তিনি তিন দিন অপেক্ষা করেছিলেন।
তিনি বলেন, কোনো চিকিৎসক ও নার্স সময়মতো উপস্থিত না থাকায় অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। এমন অভিযোগ স্বাস্থ্য অধিদফতরেও জমা পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসাহ দিতে ঝুঁকিভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। এর অংশ হিসেবে ঈদের আগেই বোনাস হিসেবে এ অর্থ পেতে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহেদ রফি পাভেল বলেন, হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসকরা থাকেন না এমন অভিযোগ রয়েছে। রোগীর স্বজনরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু চিকিৎসকরা তো শতভাগ সুরক্ষার নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। এন-৯৫ মাস্ক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত পিপিই না পাওয়ায় চিকিৎসকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এতে অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ মারাও যাচ্ছেন। ফলে তাদের সুরক্ষার পাশাপাশি উৎসাহমূলক কিছু দিতে পারলে দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি কাজের গতি অবশ্যই বাড়বে।
/আরএম