দেশজুড়ে
সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম শিমুলের ওপর হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ঢাকা অর্থনীতির নিজস্ব প্রতিবেদক আজহারুল ইসলাম শিমুল। আহত আজহারুল ইসলামকে উদ্ধার করে ধামরাই এর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান। এর আগে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় অবস্থানকালে হামলার শিকার হন তিনি।
সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম শিমুল জানান, গত ২৮ এপ্রিল ‘ঢাকা অর্থনীতি’ পত্রিকায় ‘বাকশাল কি ভুল ছিল? ইতিহাস ও সাধারণ মানুষের অসন্তুষ্টি’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। এর জেরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এক পর্যায়ে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক আজহারুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন দূর্বৃত্তরা। পরে আহত সাংবাদিক আজহারুল ইসলামকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা। সেখানে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
এ ঘটনায় আশুলিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা ওসি কামরুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দাবি জানান।
এদিকে সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম শিমুলের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো কামরুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম শিমুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে তিনি এখনও কোন লিখিত অভিযোগ দেননি। তিনি অভিযোগ দিলে আমরা সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ঘটনার পর থেকে চরম আতঙ্কে রয়েছেন সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম শিমুল। তিনি বলেন, আমার পা ভেঙ্গে গিয়েছে। সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা। যারা সরাসরি এ হামলা চালিয়েছে তাদের আমি চিনিনা। তবে আওয়ামীলীগ ও বাকশাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরেই এ হামলা হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আমি নিশ্চিত যে আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্দেশেই আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি ভয়ে আছি যে আমার ওপর আবারও হামলা হতে পারে। তাই আমি সাভার উপজেলার বাইরে অন্য হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমি এখনও চলাফেরা করতে পারছিনা। একটু সুস্থ হলেই আমি আশুলিয়া থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোদ দায়ের করব।
/আরএম