দেশজুড়ে
স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে সুজন গাজী (১৯) নামে এক স্কুলছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ আগস্ট) শরীয়তপুর সদর উপজেলার মনোহর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
গ্রেফতার সুজন গাজী চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের দুলাল গাজীর ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। মেয়েটি শরীয়তপুর সদরের স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের সুজন গাজীর সঙ্গে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চরপালং এলাকার এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রথমে বন্ধুত্ব ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৪ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে চাঁদপুরে তার বাড়িতে নিয়ে যায় সুজন। বাড়িতে রেখে প্রায় ১ মাস ধর্ষণ করে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে গত ২৪ জুলাই পালং মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন বাবা।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। সে নাবালিকা। আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে চাঁদপুরের সুজন গাজী। পরে আমি থানায় জিডি করি। জিডির পর গত সপ্তাহে সুজনের বাবা দুলাল গাজী আমার মোবাইলে ফোন দেন। ফোন দিয়ে বলেন, আপনার মেয়ে আমার বাড়িতে।
তিনি আরও বলেন, আমি মেয়ের সন্ধান পেয়ে গত শুক্রবার থানায় একটি মামলা করি। পরে শনিবার সুজন ওই মেয়েকে নিয়ে শরীয়তপুরে আসে। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার অবুঝ মেয়ের সাথে সুজন খারাপ কাজ করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পালং মডেল থানা পুলিশের এসআই রুপু রায় জানান, ওই ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার আসামি সুজন গাজীকে মনোহর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।