দেশজুড়ে
ভারতীয় ঋণে পায়রা বন্দরে হচ্ছে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্নের প্রকল্প পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ চলছে। পায়রা বন্দর বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে এখানকার চিত্র। ২০১৯ সালেই স্বল্প পরিসরে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে।
এর মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ ১ হাজার ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। ভারতীয় তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় এটা নির্মাণ করা হবে। টার্মিনালের মাধ্যমে পাথর, বালু, কন্টেইনার থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্য খালাস করা যাবে।
টার্মিনালে পণ্য খালাসের সুবিধায় একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, ১৮টি ট্রাক্টর, ৩৬টি ট্রেইলার, পাঁচটি ফর্ক লিফট ও ছয়টি ছোট ইয়ার্ড ক্রেন ক্রয় করা হবে।
দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনালে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ২১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে ভারতীয় ঋণ ৪ হাজার ৯৪৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং সরকারি অর্থায়ন ২৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। সেই হিসেবে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ মূলত ভারতীয় ঋণেই।
‘পায়রা বন্দরে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদেই এই টার্মিনাল নির্মাণ করবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম প্রধান (পরিকল্পনা) সাইফুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন,ভারতীয় ঋণে পায়রা বন্দরে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে যাচ্ছি। এটা নির্মাণে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে বন্দর খাতে বাংলাদেশের অবস্থান আরো উন্নত হবে। পরিবহন ও ব্যবসায় ব্যয় প্রত্যাশিত পরিমাণে হ্রাস পাবে। এই বিশাল টার্মিনালের মাধ্যমে পাথর, বালু ও কন্টেইনার থেকে শুরু করে সব ধরণের পণ্য খালাস করা যাবে।