দেশজুড়ে
গবাদি পশু নিয়ে দিশেহারা বগুড়ার বন্যাকবলিত মানুষ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: যমুনার পানি কমলেও বাঙ্গালী নদীর পানি বাড়ায় বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি এবং ধুনট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। অনেকের বাড়িঘর ফসলি জমি ডুবে গেছে। তারা কোন রকমে রাস্তার পাশে এবং আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর খাদ্য, বাসস্থান এবং গবাদি পশু নিয়ে নানা সমস্যায় পড়েছেন। একদিকে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া অন্যদিকে গবাদি পশুর রোগ বালাই আশংকায় দিশেহারা বন্যাকবলিত মানুষেরা।
কোরবানিকে উপলক্ষ করে এই অঞ্চলের অনেক মানুষ পশু পালন করেছেন। এসব পশুর এখন তীব্র খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া রোগ বালাই নিয়েও শংকায় আছেন তারা। বন্যা কবলিত মানুষরা বলেন, অনেক হাঁস-মুরগী মারা গেছে, বের করতে পারিনি।
বন্যা এলাকায় গোচারণ ভূমি নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে গো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অন্য স্থান থেকে খাদ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, গবাদি পশুর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। গবাদি পশু রোগবালাই রোধে টিকা দেয়া হচ্ছে। আক্রান্ত এলাকায় ছয়টি ভেটেরেনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
বগুড়া জেলার তিনটি উপজেলায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এবং ২ লাখ গবাদি পশু বন্যা কবলিত হয়েছে। এছাড়া, বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে দেড় হাজার, আর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে ২১ হাজার হেক্টর।