ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার মেনু নিয়ে কনেপক্ষের সঙ্গে তর্ক শুরু হয় বরপক্ষের। কথা কাটাকাটি দিয়ে ঝামেলা শুরু হয়ে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। হবু বর এবং বরযাত্রী মিলে কনেপক্ষকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। ছুড়ে মারতে দেখা যায় চেয়ারও। রাগে বিয়ে ভেঙেই বাড়ি ফিরে যান পাত্র।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সমস্যার শুরু বিয়ের মেনু নিয়ে। সেখানে মাছ-মাংসের কোনও পদ ছিল না। নিমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করতে হরেক নিরামিষ পদের আয়োজন করেছিলেন পাত্রীর বাবা। এটিই ছির তার ‘অপরাধ’।
বরযাত্রীরা আশা করেছিলেন, পাতে আমিষের নানা পদ থাকবে। সেখানে তাদের মুখে নিরামিষ পোলাও, পনির-সহ নানা ধরনের নিরামিষ পদ রুচবে কী করে? বিয়ের অনুষ্ঠানে তা নিয়েই কনেপক্ষের সঙ্গে গোল বাধে বরপক্ষের।
অভিযোগ, নিরামিষ খাবার রান্না হয়েছে জেনে পাত্রীর বাবাকে মাছ-মাংসের আয়োজন না করার জন্য গালাগালি দিচ্ছিলেন হবু বর। তারপর কনেপক্ষকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন পাত্র এবং তার আত্মীয়রা।
রাগের বশে বিয়েই ভেঙে দেন পাত্র। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার আনন্দনগর গ্রামের। পাত্রের নাম অভিষেক শর্মা। দীনেশ শর্মার কন্যা সুষমা শর্মাকে বিয়ে করার কথা পাকা হয়ে গিয়েছিল তার। কিন্তু বিয়ের মণ্ডপেই বসতে আপত্তি জানান অভিষেক।
এদিকে বিয়ে ভেঙে মোটা টাকার পণও নিয়ে যান তিনি। পাত্রের বিরুদ্ধে দীনেশের অভিযোগ, ‘গাড়ি কেনার জন্য আমার কাছ সাড়ে চার লাখ টাকার পণ নিয়েছিল পাত্রপক্ষ। এক জোড়া তিলকের বাক্স এবং ২০ হাজার টাকা খরচ করে দু’টি সোনার আংটিও পাত্রকে দিয়েছিলাম আমি।’
তার আরও অভিযোগ, ‘বরযাত্রীদের মাছ-মাংস খেতে না দেয়ায় সেসব নিয়ে বিয়ে ভেঙে চলে যান পাত্র।’