বিশ্বজুড়ে
ইরানে ভোট গণনায় সংস্কারপন্থী মাসুদ এগিয়ে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। কট্টরপন্থী ও সংস্কারপন্থী দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাচ্ছে।
শুরুর দিকে এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে পিছিয়ে পড়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি। এগিয়ে আছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী, আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত গণনা করা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৪৬২টি ভোট। মাসুদ পেজেশকিয়ান ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮১ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। সাইদ জলিলি পেয়েছেন ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ৩২১ ভোট।
এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটি ৩ লাখের মতো ভোট গণনার সময় সামান্য ভোটে এগিয়ে ছিলেন সাইদ জালিলি। তিনি পেয়েছিলেন ৪২ লাখ ৬০ হাজার ভোট। মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছিলেন ৪২ লাখ ৪০ হাজার ভোট। মূলত এই দুজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
এছাড়া কট্টরপন্থী প্রার্থী ও পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ পেয়েছেন ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৫ ভোট। আরেক কট্টরপন্থী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৬৭ ভোট।
শুক্রবার ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদ শেষে ভোট অনুষ্ঠিত হতো। ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ায় আগাম নির্বাচন হয়। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচনে ছয়জনকে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেয় ইরান কর্তৃপক্ষ। পরে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন- মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, মাসুদ পেজেশকিয়ান, সাইদ জালিলি ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদি।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের প্রেসিডেন্টের ভূমিকা বড় করে দেখা হলেও দেশের প্রকৃত ক্ষমতা থাকে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে। পররাষ্ট্র বা পারমাণবিক নীতি ও সরকারের বিভিন্ন শাখার নিয়ন্ত্রণ, সামরিক, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন আর্থিক সম্পদের বিষয়ে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ কেউ এই নির্বাচনে জয় পাবেন। অর্থাৎ এ নির্বাচনের ফল খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করবে।
খামেনির বর্তমান বয়স ৮৫ বছর। ধারণা করা হচ্ছে, যিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট হবেন, তিনি পরবর্তী সময়ে খামেনির উত্তরসূরি নির্বাচনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকবেন।
খবর-রয়টার্স