বিশ্বজুড়ে

গাজা ও মিসর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নেবে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: গাজা ও মিসর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে নির্মূল করার জন্য ইসরায়েলের অভিযান আরও বিস্তৃত হচ্ছে—এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চলবে আরও কয়েক মাস।

গতকাল শনিবার নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সব ফ্রন্টেই ইসরায়েলি বাহিনী লড়ছে। বিজয় অর্জন করতে সময় লাগবে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান যেমনটা বলেছেন, আরও বেশ কয়েক মাস ধরেই যুদ্ধ চলবে।

এ সময় ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহ এবং ইরানের প্রতিও হুমকি ছুড়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধের পরিধি বাড়ায় তবে তারা এমন আঘাতের সম্মুখীন হবে, যা কখনো ভাবতেও পারেনি। একই কথা ইরানের জন্যও প্রযোজ্য।

কংগ্রেসকে এড়িয়ে ইসরায়েলকে আবারও অস্ত্র দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকংগ্রেসকে এড়িয়ে ইসরায়েলকে আবারও অস্ত্র দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়া করিডর বাফার জোন, যা মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্ত বরাবর চলে গেছে, তা অবশ্যই ইসরায়েলের হাতে থাকতে হবে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। অন্য যেকোনো অবস্থায় আমরা যে নিরস্ত্রীকরণ চাই, তা নিশ্চিত হবে না।’

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজার আল-বুরেজ, নুসেইরাত, মাগাজি ও খান ইউনিসে তীব্র যুদ্ধ চলছে। এসব অঞ্চলে ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলার মধ্যে আহত ফিলিস্তিনিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় বোমা হামলায় ১৬৫ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় দেড় মাসে গাজা হারাল জনসংখ্যার ১ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় দেড় মাসে গাজা হারাল জনসংখ্যার ১ শতাংশ
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় তিন মাস ধরে চালানো এই হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২১ হাজার ৬৭২ জন ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২৩ লাখ মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, আহতের সংখ্যা ৫৬ হাজারের বেশি। এ ছাড়া, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক মরদেহ চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। ইসরায়েলি এই হামলায় ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট।

সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরার

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close