বিশ্বজুড়ে
পানির নিচে ১০০ দিন ; অনলাইনে পড়িয়েছেন শিক্ষার্থীদের
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: জ্ঞান অর্জনের জন্য মানুষ কত কিছুই–না করে। এমনই একজন যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক জোসেফ ডিটুরি। টানা ১০০ দিন পানির নিচে কাটিয়েছেন তিনি। এ সময়ে ১২টি দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অনলাইনের মাধ্যমে পড়িয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি দিন পানির নিচে থাকার রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
৫৫ বছর বয়সী জোসেফ ডিটুরি ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডায় পড়ান। এই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যেই একটি হোটেল রয়েছে জুলস আন্ডার সি লজ নামে। অবস্থান একটি হ্রদের তলদেশে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুট গভীরে। সেখানেই গত ১ মার্চ থেকে ছিলেন ডিটুরি।
জোসেফ ডিটুরি অবশ্য এর আগেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন পানির নিচে ৭৪ দিন কাটানোর পরই। কারণ, এর আগে সবচেয়ে বেশি সময় পানির নিচে থাকার রেকর্ডটি ছিল ৭৩ দিনের। ওই রেকর্ড করেছিলেন টেনেসি অঙ্গরাজ্যের দুই অধ্যাপক। তাঁরাও জুলস আন্ডার সি লজেই ছিলেন। সেটি ২০১৪ সালে।
জোসেফ ডিটুরির একটি ডাকনাম আছে, ‘ড. ডিপ সি’। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় যুক্ত হওয়া অবশ্য তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল না। ডিটুরি বলেন, পানির নিচের জগতে এবং জনবিচ্ছিন্ন, বদ্ধ ও চরম পরিবেশে মানুষের সহ্যক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে গবেষণা করতেই জুলস আন্ডার সি লজে ছিলেন তিনি।
ডিটুরির এ গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজেক্ট নেপচুন ১০০’। এর লক্ষ্য, জনবিচ্ছিন্ন পরিবেশে ও প্রবল চাপের মধ্যে মানুষের শরীর ও মনস্তত্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সে সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা। ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি অভিযানে নভোচারী ও মহাসাগর–গবেষকদের সুবিধার জন্য এ গবেষণা করা হয়েছে।
তবে পানির নিচে থেকেও নিজের শিক্ষকতা পেশার কথা ভুলে যাননি জোসেফ ডিটুরি। এ সময়ে ১২টি দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অনলাইনের মাধ্যমে পড়িয়েছেন তিনি। পানির ওপর উঠে আসার পর এবার তাঁর পরিকল্পনা গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা। আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড এক্সট্রিম মেডিসিন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই তথ্যগুলো সামনে আনতে চান তিনি।