দেশজুড়ে
এক টাকায় বিক্রি করছেন খাসির মাংসের বিরিয়ানি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ‘আত্মমানবতায় সমাজ গড়ি, নিজের টাকায় ইফতার করি’ – এই প্রতিপাদ্যে বগুড়ায় নিম্নআয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে একদল তরুণ। এক টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন খাসির মাংসের বিরিয়ানি। ফলে দানে নয়, নিজের টাকায় ইফতার করছেন অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিতরা। এতে দিন শেষে হাসি ফুটছে অসহায়দের মুখে।
রমজান মাসকে ঘিরে ইফতার সামগ্রীর দাম যখন ঊর্ধ্বগতি এমনই সময় ব্যতিক্রম এই ইফতারের দোকান মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে চাইলেই বিরিয়ানি বিনামূল্যে বিতরণ করতে পারতেন ওই তরুণরা। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের চাওয়া অসহায় মানুষদের যেন আত্মসম্মান বজায় থাকে। একই সঙ্গে দোকান থেকে কিনে খাওয়ার মতো অনুভূতিও যেন পান তারা।
বগুড়ার সাতমাথায় লাইফ লাইন (উই আর ফ্যামিলি) ব্যানারে প্রতিদিন এক টাকার ইফতার বক্স বিক্রি করা হচ্ছে। পঞ্চম রোযা থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম, চলবে রমজান মাসের শেষদিন পর্যন্ত। খাসির মাংসের বিরিয়ানি ছাড়াও তাদের ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে খেজুর ও শসা। বিকেল থেকে শুরু করে ইফতারের সময় পর্যন্ত খাসির বিরিয়ানি বিক্রি করা হয়। প্রথমে নিজেদের টাকায় অসহায়দের পাশে দাঁড়ান তরুণরা। বর্তমানে কিছু মানুষের সাহায্য-সহযোগিতাও পাচ্ছেন তারা।
তরুণরা বলেন, প্রতিদিন শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় ইফতার বিক্রি করা হলেও পর্যায়ক্রমে স্থান পরিবর্তন করা হবে। পরবর্তীতে শহরের সার্কিট হাউসের সামনে, কাঁঠালতলা, বড় মসজিদ, সেউজগাড়ী, বড়গোলা, নামাজগড় মোড়ে নিম্নআয়ের মানুষদের কাছে ইফতার বিক্রি করা হবে।
তারা আরো বলেন, প্রতিদিন সর্বনিম্ন ১০০ বক্স ইফতার বিক্রি হয়। তবে যেদিন অন্যদের সাহায্য পাওয়া যায়, সেদিনগুলোতে ৩০০-৫০০ বক্স ইফতার বিক্রি হয়।
অসহায়দের মাঝে এক টাকায় ইফতার বিক্রির এই উদ্যোগ সর্বপ্রথম গ্রহণ করেন আহসান হাবিব সেলিম। পরবর্তীতে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ওহেদুর রহমান রবি, জুয়েল, মারুফ, ইকবাল, বিশাল, তুফান, ফারুক, টুটুলসহ আরো অনেকে।
ওহেদুর রহমান রবি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, নিম্নআয়ের মানুষদের কাছে এক টাকায় ইফতার বিক্রি করা হচ্ছে, কারণ তারা ৫০-৬০ টাকায় এক প্যাকেট বিরিয়ানি কিনতে পারেন না। তাই আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ও সম্মিলিত চেষ্টায় দানে নয় নিজের টাকায় ইফতার কিনে খেতে পারছেন অসহায় মানুষগুলো। মূলত সংগঠনের সদস্যদের টাকায় বাজার করে ইফতার বিক্রি করা হয়।
এই কাজটি দেখে যাতে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হয় ও এগিয়ে আসেন, সেটিই আমাদের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য বলেও জানান ওহেদুর রহমান রবি।
/এন এইচ