দেশজুড়ে
কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৮ জন আহত
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ফরিদপুরে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার কৈজুরি ও কানাইপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এলাকাবাসী কুকুরটিকে ধাওয়া করে পিটিয়ে হত্যা করে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কানাইপুরের হলুদবাড়িয়া গ্রাম থেকে একটি কুকুর হঠাৎ যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়াতে শুরু করে। প্রথমে কানাইপুর ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া গ্রামের মিম আক্তার (২) নামের এক শিশুকে কামড় দেয়। এরপর ফুশরা, সাঁচিয়া, বিল নালিয়া, তাম্বুল খানা ও সবশেষে শোলাকুন্ডু গ্রামে কুকুরটি তাণ্ডব চালায়। পরে কানাইপুরের শোলাকুন্ডু এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এলাকাবাসী কুকুরটিকে পিটিয়ে হত্যা।
আহতরা হলেন- কানাইপুর ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া গ্রামের আবদুস সোবহানের স্ত্রী খালেদা (২৮), ফুসরা গ্রামের নাজমুল হোসেনের ছেলে সাব্বির (৪), সোবহান মিয়ার ছেলে ছেলে সাদ্দাম (৯), মানিক খানের ছেলে হামিম খান (৭), শোলাকুন্ডু গ্রামের আলমগীর কবিরের ছেলে সামিউল (৯), আবদুল আলীর মেয়ে তমা (২০) ,অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কানাইপুরের সোলাকুন্ডু গ্রামের মোহাম্মদ হাবিব শেখ জানান, হঠাৎ একটি লাল রঙের কুকুর যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়িয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া করে কুকুরটিকে মেরে ফেলে।
আরেক বাসিন্দা মাজেদ মোল্লা বলেন, তার তার স্ত্রী হাসি বেগম বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করছিলেন। কিছু বুঝে উঠার আগে হঠাৎ করে দৌড়ে এসে তাকে কুকুরে কামড় দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। পরে তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, কানাইপুর ও পাশের ইউনিয়নের বিভিন্ন বয়সী প্রায় ৩০-৪০ জনকে কুকুর কামড়ে আহত করে। তাতে সবার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
/এন এইচ