বিশ্বজুড়ে
ইউরোপে জ্বালানি সংকট
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার পরিশোধিত জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে এতে ইউরোপী দেশগুলোতে জ্বালানি ঘাটতি দেখা দেয়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিবে বলে মনে করছে হাঙ্গেরি।
হাঙ্গেরির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আরটি।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার পরিশোধিত জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যা ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোয় অনিবার্যভাবে জ্বালানি ঘাটতি দেখা দিবে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম আকাশ ছোবে।
এমনকি রাশিয়া বিরোধী নতুন পদক্ষেপগুলোর কারণে হাঙ্গেরিও দীর্ঘ মেয়াদে ভুগবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রুসেলসের কর্মকর্তারা এক ঘোষণায় জানান যে জোটটি রাশিয়া থেকে আমদানি করা ডিজেলসহ ব্যয়বহুল জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করেছে ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার। আর তুলনামূলক কমদামি জ্বালানির সর্বোচ্চ মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ ডলার।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর মস্কোর ওপর নেমে আসে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার খড়গ। রাশিয়ার নাগরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর দেয়া হয় কঠোর নিষেধাজ্ঞা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিমাদের জ্বালানি সরবরাহ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন পুতিন। এরপরই বিশ্ববাজারে লাগামহীন হয়ে পড়ে জ্বালানির দাম। দেশে দেশে দেখা দেয় জ্বালানি সংকট।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এবং মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানির দাম ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-সেভেন জোট। এবার রাশিয়ার পরিশোধিত জ্বালানি পণ্যের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ইইউ। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়াসহ জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলো।
বর্তমানে ডিজেল প্রতি ব্যারেল ১১০ ডলার থেকে ১২০ ডলারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের কাছাকাছি।