বিশ্বজুড়ে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে ১২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ অনেকে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্যে ভূমিধসের ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে একটি ক্যাম্প এলাকার তাঁবুর ওপর পাশের পাহাড়ি রাস্তা ধসে পড়লে মাটির নিচে চাপা পড়ে এ প্রাণহানি হয়। এ ঘটনায় এখনো ২০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ আছেন। তাঁদের সন্ধানে উদ্ধারকারী দলগুলো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। খবর রয়টার্সের

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের উপকণ্ঠে সেলানগর রাজ্যের অবস্থান। রাজ্যের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকারী বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দিবাগত রাত তিনটার দিকে একটি অরগানিক খামারের কাছের একটি রাস্তায় ভূমিধস হয়। ওই খামারে তাঁবু খাটিয়ে থাকার (ক্যাম্প সাইট) ব্যবস্থা ছিল।

সেলানগর রাজ্যের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকারী বিভাগের পরিচালক বলেছেন, ক্যাম্প এলাকাটির প্রায় ৩০ মিটার ওপর থেকে রাস্তাটি ভেঙে পড়ে। এতে ক্যাম্প এলাকার প্রায় এক একর জায়গা মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়।

বাতাং কালি নামের এলাকায় ভূমিধসটি হয়েছে। এলাকাটির দূরত্ব কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। পাহাড়ি এলাকা জেনটিং হাইল্যান্ডসের লাগোয়া এলাকা এটি। রিসোর্ট, জলপ্রপাত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে জেনটিং হাইল্যান্ডস পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

ফাদার’স অরগানিক ফার্ম নামের জৈব চাষাবাদের খামারটির ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, ছোট একটি উপত্যকায় স্থাপিত খামার বাড়িটিতে তাঁবু স্থাপনের জন্য বিশাল একটি জায়গা রাখা আছে। স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে রাস্তার পাশের একটি জঙ্গল এলাকায় ভূমিধসের চিত্র দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার এক বার্তায় বলা হয়েছে ৯০ জনের বেশি মানুষ ভূমিধসের কবলে পড়েছেন। এর মধ্যে ৫৯ জনকে নিরাপদ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২২ জন এখনো নিখোঁজ।

মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়কমন্ত্রী নিক নাজমি নিক আহমদ আজ শুক্রবার সকালে এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘প্রার্থনা করি, নিখোঁজ ব্যক্তিদের যেন দ্রুত নিরাপদ অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। উদ্ধারকারী দল ভোর থেকেই সেখানে কাজ করছে। আমি আজ সেখানে যাচ্ছি।’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেলানগর হলো মালয়েশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য। এর আগেও রাজ্যটিতে ভূমিধস হয়েছে। এসব ভূমিধসের বেশির ভাগের জন্য বন উজারকরণকে দায়ী করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close