প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভারে বৃদ্ধার হত্যাকারী নারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে নিজ বাড়িতে বৃদ্ধা হাজেরা খাতুন (৭৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ছয় মাস পর মমতাজ পারবীন নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবী, গ্রেপ্তার নারী হত্যাকান্ডের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। উদ্ধার করা হয়েছে নিহত হাজেরা খাতুনের লুট হওয়া মোবাইল।

বুধবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল্লাহিল কাফী। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সাভারের সিআরপির ডগরমোরা এলাকার হাফিজুর রহমানের বাসা থেকে অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতের নাম- মমতাজ পারভীন তিনি ফেনী জেলা সদরের নতুনবাড়ি গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের মেয়ে। মমতাজ সাভারের সিআরপির ডগরমোরা এলাকার হাফিজুর রহমানের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

নিহত হাজেরা খাতুন (৭৩) সাভারের দক্ষিণ সবুজবাগের বিনোদবাইদ এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের স্ত্রী। তিনি তার ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, সাভারের দক্ষিণ সবুজবাগের বিনোদবাইদ এলাকায় চলতি বছরের গত ২৮ জুন বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে মমতাজ পারভীন। বোরখা পরিহিত মমতাজ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে হাজেরা খাতুনের হাত-পা রশি দিয়া বেঁধে ও মুখে স্কসটেপ পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। এ সময় ঘরের কোনো কিছু না নিয়ে শুধু নিহতের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যান মমতাজ। বোরখা পড়ে ঘরে প্রবেশ করায় তাকে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীসহ সিসি ক্যামেরায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মমতাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া হত্যার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মমতাজ পারভীন। তার হেফাজত থেকে নিহত নারীর লুট হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

তবে হত্যার কারন কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত স্বার্থে আমরা বিস্তারিত কোন ধারণা দিতে পারছি না। প্রাথমিকভাবে বলতে পারি, বড়ধরনের কোন স্বার্থের জন্য বৃদ্ধাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে। বাকী যারা জড়িত আছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরবর্তী জানানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close