আশুলিয়াস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ মামলায় পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়া থেকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ ও অপহরণের মামলায় এবার এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে এই মামলা নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আজ সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য ইমরান হোসেনকে আশুলিয়া থানা থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকা আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে তাকে মির্জাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইমরান হোসেন (৩৩) ধামরাইয়ের বেলীশ্বর গ্রামের মো. আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি মির্জাপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে নারী বাদে পাঁচ আসামির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদেরকে ২৬ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে তাদের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিম্মা থেকে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার পশ্চিম কলিয়া গ্রামের পান্নু মিয়ার ছেলে। বর্তমানে আশুলিয়ার বাইপাইলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ও ফার্নিচার ব্যবসা করেন।
মেহেদি হাসান বলেন, গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা আমি আমার প্রতিষ্ঠানে বসেছিলাম। এর মধ্যে ৫ থেকে ৬ জন লোক ক্রেতা সেজে মালামাল দেখছিল। এরপর হঠাৎ করে তারা আইনের লোক বলে আমাকে টেনেহিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। আমাকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে মারধর করে ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করায়। আমার স্ত্রীকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ছাড়া আমার কাছে টাকা পাবে এই মর্মে স্টাম্পেও স্বাক্ষর নেয়। গ্রেপ্তার নারী খাদিজা আমার পূর্ব পরিচিত ও দূর সম্পর্কের আত্নীয়। তারা তুলে নিয়ে গেলে পরে ওই নারীকে দেখতে পাই।
এ ঘটনায় ২৫ নভেম্বর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর মা রুবি বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই আল মামুন কবির বলেন, এই মামলায় জড়িত থাকার তথ্যের ভিত্তিতে ও ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে কনস্টেবল ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলায় আরো ছয়জন গ্রেপ্তার আছে।
টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়ছার বলেন, আশুলিয়া থানার অপহরণ মামলায় মির্জাপুর থানার কনস্টেবল ইমরান হোসেন জড়িত থাকার অভিযোগে রয়েছে। একটি হলো ফৌজদারি অপরাধ, যা আদালত ব্যবস্থা নিবেন। আরেকটি আমাদের এখানে তদন্ত করে বিভাগীয় মামলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।