শিল্প-বানিজ্য
রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১০ থেকে ১১ শতাংশ বেশি।
বুধবার (২০ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১ বিলিয়ন ডলার আর রফতানি হয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে পণ্যখাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৫৮ বিলিয়ন ডলার আর সেবা খাতে ৯ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে।
করোনার কারণে প্রায় দুই বছর অর্থনৈতিক সংকোচন অবস্থা থেকে উত্তরণের ফলে বাজারে ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রফতানিতে এ অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইউরোপে দাবদাহে, বিশ্বে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি উত্তরণের পথে থাকলেও আরও কিছুদিন এ সংকট থাকবে বলে বিভিন্ন অংশীজন মতপ্রকাশ করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিশেষ করে, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে। এতে বিশ্বের উন্নত দেশ, যেমন- ইউরোপ ও আমেরিকায় বাড়ছে মূল্যস্ফীতি এবং কর্মহীন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদান করবে। সরকারি এবং বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়।
সদ্যবিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রফতানি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৪ দশমিক৩৮ শতাংশ বেশি ছিল। পণ্য খাতে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫২ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি। সেবা খাতে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। পণ্য ও সেবা খাত মিলে ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬০ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছিল, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
/এএস