আশুলিয়াদেশজুড়েপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
জিতুর পর এবার সাময়িক বহিষ্কার প্রেমিকাও
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আজ পুনরায় ক্লাসে ফিরেছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
শনিবার(০২ জুলাই) সকাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও এখনও আতংক ও শোকের ছোয়া ছিল সকলের চোখেমুখে। আজও ছুটি শেষে মানববন্ধন করেন ওই স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় মানববন্ধনে ৫ মিনিট নিরবতা পালন করেন তারা।
এর আগে গত মাসের শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি উৎপল কুমার সরকারকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে নৃশংসভাবে হত্যা করে একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু। এ ঘটনায় আজ শনিবার (০২রা জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে খুনি জিতুর দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিশ্চিত করতে এই মানববন্ধন ও ৫ মিনিট নিরবতা পালন করেন ওই স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উৎপল কুমারের হত্যাকারী প্রধান আসামি জিতুকে ফাঁসি ও এই খুনে জড়িত থাকা সকল আসামিদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আগামীকাল রবিবার (০৩রা জুলাই) থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঈদের ছুটির সিদ্ধান্ত দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাছান বলেন, উৎপল স্যার শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। আমাদের একজন সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন তিনি। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি এখন আমাদের মাঝে নেই। আমরা মর্মাহত। ঘটনার সাত দিন আজকে স্কুলের সকল কার্যক্রম চালু হয়েছে। আজকে থেকে আবার আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঈদের ছুটির জন্য স্কুল বন্ধ থাকবে। ঈদের পর পুনরায় আবার স্কুলের সকল কার্যক্রম চালু করা হবে।
স্কুলের সমন্নয়ক শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৩রা জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঈদের ছুটি থাকবে। এই সিদ্ধান্ত আমরা কমিটির তিনজন নিয়েছিলাম। আমি উৎপল স্যার আর প্রিন্সিপাল স্যার এই সিদ্ধান্ত নিই। তবে উৎপল স্যার আর আমি বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতাম আর প্রিন্সিপাল স্যার শুধু স্বাক্ষর করতেন। এখন আমাদের ১৫ তারিখের জায়গায় একদিন বাড়িয়ে ১৬ তারিখ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জিতুকে শুক্রবার স্থায়ী বহিঃষ্কার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আজ জিতুর ‘প্রেমিকা’ ওই প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকেও সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর আগে শিক্ষক উৎপল কুমার এই ছাত্রীকে জিতুর সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করেছিলেন, এবং ওই ছাত্রীর পরিবারকেও এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন।
উৎপল কুমার সরকারকে অতর্কিত হামলা ও খুনি জিতুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেন আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকার গাজিরচট এ.এম উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ও আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকার দোসাইদ এ কে স্কুল অ্যান্ড কলেজ সহ আশুলিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
/এএস