প্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি: খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। তাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে দেশে খাদ্য সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এসময় প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ সোমবার সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় তার সবই করা হবে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, বোরো সংগ্রহ সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা চাল আগে পরিশোধ করলে প্রয়োজনে তাদের আরো বরাদ্দ দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস বাজার থেকে ধান চাল কিনছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তারা কৃত্রিম কোন সংকট তৈরি করছে কিনা তা খতিয়ে হবে। ভোক্তা যেন আতংকিত না হয় সে জন্য সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ধান চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ধান ও চাল সংগ্রহকালে কোনো কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন কোনোভাবে হয়রানি না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ ভেজা ধান পরীক্ষাকরণ মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের বাড়িতে গিয়ে এ কাজটি করলে ভোগান্তি কমবে। বেশি ভেজা ধান ফেরত নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না। মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোন আপস হবে না।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসকগণ, কৃষি বিভাগের উপপরিচালকগণ খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close