আমদানি-রপ্তানীপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য
ঊর্ধ্বমুখী মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য কমেছে। বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া থেকে রফতানি অনিশ্চয়তা পণ্যটির বাজারদরে নিম্নমুখী চাপ তৈরি করেছে। তবে অলিনের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদায় পণ্যটির সাপ্তাহিক দাম বেড়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
তথ্য বলছে, সর্বশেষ কার্যদিবসে বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। প্রতি টন লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫১ রিঙ্গিতে। এর আগের কার্যদিবসে পণ্যটির দাম তিন সপ্তাহের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল।
পাম অয়েলের একটি ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান জানায়, স্থানীয় চাহিদা পূরণে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত দিয়ে আবারো পাম অয়েল রফতানি শুরু করবে ইন্দোনেশিয়া। বাজারে এমন গুঞ্জন ছিল। কার্যদিবস শেষ হওয়ার আগে ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা দেয় দেশটি ১০ লাখ টন পাম অয়েল রফতানির অনুমোদন দেবে।
তিন সপ্তাহ পর গত সোমবার দেশটি পাম অয়েলের ওপর থেকে রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। কিন্তু স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য নির্ধারিত দামে একটি বাধ্যতামূলক পলিসিও গ্রহণ করে। উদ্দেশ্য বাজারে পণ্যটির মূল্য নিয়ন্ত্রণ।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ইন্দোনেশিয়া আরো নতুন কিছু পলিসি গ্রহণ করতে পারে। তবে বিশ্লেষকরা দেশটিকে দ্রুত রফতানি শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে তিন সপ্তাহ নিম্নমুখী থাকার পর চলতি সপ্তাহে পণ্যটির ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ৪ শতাংশ বেড়েছে।
তথ্য বলছে, চলতি মাসে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন ৫-৭ শতাংশ কমতে পারে। এ কারণে পণ্যটির মজুদ আরো কমার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে ১-২৫ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া ১১ লাখ ১২ হাজার ১৭৫ টন পাম অয়েল রফতানি করে। গত মাসের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। ১-২৫ মে পর্যন্ত দেশটি ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮৩ টন পাম অয়েল রফতানি করেছিল।
/একে