দেশজুড়ে
অস্থির লবণের বাজার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: অজুহাত আর কারসাজির কবলে পড়ে এবার অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের লবণের বাজার। মাঠের অপরিশোধিত লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হওয়ায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে দাম। চলতি মাসেই মিল পর্যায়ে প্রতি বস্তা লবণের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকার বেশি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিল মালিকদের নানা কারসাজি। অথচ পরিশোধিত লবণের কোনো সংকট নেই।
পহেলা মে চট্টগ্রামের মিলগুলোতে ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা পরিশোধিত লবণ বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। ঈদের ঠিক পরেই বেচাকেনা জমে ওঠার আগে বাড়তে শুরু করে লবণের দাম। গত বৃহস্পতিবার প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৭০ টাকা দরে। এক সপ্তাহেই দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। মাঠপর্যায়ে উৎপাদনে ঘাটতি হওয়ায় দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
চট্টগ্রাম মাঝিরঘাটের মেসার্স জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক জামাল উদ্দিন জানান, অজুহাত হলো লবণ উৎপাদন হয়নি। উৎপাদনের সময় বৃষ্টি ছিল। উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে কুয়াশার কারণে।
মূলত কক্সবাজারের উপকূল এলাকা থেকে সংগ্রহ করা অপরিশোধিত লবণ চট্টগ্রামের ৫৪টি মিলে রিফাইন্ড করা হয়। কিন্তু মাঠের লবণের ঘাটতির কারণে মিলগুলোতে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ৮৮ কেজির প্রতি বস্তার অপরিশোধিত লবণের দাম এক মাসে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে।
ব্রোকার জসিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ক্রুট মালটা কম আসছে। এ কারণেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে লবণের দাম বেড়েছে।
অভিযোগ ওঠেছে, বেশি লাভের আশায় মিল মালিকরা প্রতিযোগিতা করে মাঠের লবণ কিনতে থাকায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।
সঞ্জিত সাহা নামে আরেক ব্রোকার বলেন, একজন ২০ টাকা বাড়ালে অন্যজন বাড়াচ্ছে ৩০ টাকা। এরপরও ব্যবসায়ীরা লবণ কিনে ক্রাশ করে বাজারে বিক্রি করছে।
ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৫ মাস লবণের ভরা মৌসুম। আর মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা অজুহাতে লবণের দাম বাড়ানো হয়েছে।