দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
এক গ্রামের প্রায় সবাই বিকাশ প্রতারণায় জড়িত
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: অনলাইন ব্যাংকিং-বিকাশের দোকান ঘুরে একাউন্ট নাম্বার সংগ্রহ। পরে দোকানদার সেজে গ্রাহককে ফোন করে নানা তথ্যের ভিত্তিতে হাতিয়ে নেয়া হয় গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা।
একাউন্টে বাড়তি টাকা চলে যাওয়ার অভিযোগের কথা উল্লেখ করে এবং কাস্টমার কেয়ার এজেন্ট সেজে গ্রাহকদের কল দিয়ে বলা হয় সাময়িকভাবে আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ হওয়া একাউন্ট চালু করতে হলে পাসওয়ার্ড দেয়াসহ আরও বিছু বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে। আর এই ফাঁদে ফেলেই গ্রাহকের একাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকচক্র।
শুধুমাত্র আইফোন থেকেই গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট হ্যাকিং করতে পারে প্রতারক। আর একাজটি করে দল বেধে। দলের একাধিক সদস্য দেশের বিভিন্ন বিকাশের দোকান ঘুরে সংগ্রহ করে হিসেবের খাতার ছবি। যা পরে চলে যায় অপারেশন দলের কাছে। যাদের অন্যসদস্যের কাজ দোকানদার সেজে গ্রাহককে বেশি অংকের টাকা চলে গেছে বা জাল টাকা দিয়েছে বলে বিভ্রান্ত করা। আর এজন্য গ্রাহকদের বলা হয়- তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে অভিযোগ।
সম্প্রতি এমনই একটি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করার পর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়ছে, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিশেষ এক গ্রামের প্রায় সবাই এই প্রতারণার সাথে জড়িত। আর তাদের মদদ দিচ্ছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের (গুলশান) উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আইফোনে কিছু তথ্য শেয়ার করার সুযোগ থাকে। এই সুবিধা নিয়ে প্রতারকরা যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগের কথা বলে পিন নাম্বার নিয়ে গ্রাহকের একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয়।
বিকাশ বা অনলাইন ব্যাংকিংগুলোর নিরাপত্তা দুর্বল হওয়ায় সহজেই প্রতারকরা তৈরি করতে পারছে ফাঁদ। আর প্রতারনার টাকা দিয়ে অনলাইন দোকান থেকে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করছে তারা।এজন্য তাদের ধরতেও বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
মশিউর রহমান আরও বলেন, যেই মানুষগুলো এভাবে মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের মতো কিছু ব্যক্তিকে এই প্রতিষ্ঠানটি ডিলার বা এজেন্ট হিসেবে রেখেছে। যেখানে তাদের কোনো ধরনের সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই।
বিকাশ বা অনলাইন ব্যাংকিং এর কাস্টমার কেয়ার থেকে কখনো পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়না। তাই এসব ফোন এড়িয়ে চলার পরামর্শ পুলিশের।
/একে