দেশজুড়ে

বিজিবি সদস্য হত্যায় ঘরছাড়া আ. লীগ নেতাকর্মীরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম ইউপি নির্বাচনে গত ২৮ নভেম্বর জাতীয় পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে হামলা ও বিজিবি সদস্যকে হত্যা মামলায় আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এমনকি ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বয়ং আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে।

এই ঘটনার ৫ দিনেও জনমানবহীন মাঝাপাড়াসহ আশপাশের গ্রামগুলো। প্রতিদিন পালা করে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

আশপাশের ওয়ার্ডগুলোতে ঘরছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ভোটার এমনকি সমর্থকরা। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবু মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর গা ঢাকা দিয়েছেন ওই এলাকার প্রায় সব পুরুষ।

এলাকাবাসী জানান, তাদের দাবি শুধু নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে তাদের ওপর নেমে এসেছে নির্যাতন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৭ নম্বর আসামি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমান। ৭৫ থেকে ৮৪ নম্বর আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। ৭৪ নম্বর আসামি নৌকার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহার হোসেনের ছেলে মামুন মিয়া।

মোজাহার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য যারা প্রাণ দেয় আজ তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জড়ালেও ঘটনার জন্য জাতীয় পার্টি ও লাঙলের প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিককে দায়ী করছেন কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল।

জাতীয় পার্টি ও তাদের মনোনীত প্রার্থীর সহিংসতার ঘটনায় শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরই নয়, সাধারণ মানুষকেও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ মামলার ৮৬ নম্বর আসামি মিঠু গনি ২০১৬ সাল থেকে সৌদি প্রবাসী।

এর আগে গত রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভোটগ্রহণ শেষের দিকে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হোসাইন ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব আলীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে যায়। এ সময় রুবেল মণ্ডল নামে বিজিবির এক সদস্যকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close