জীবন-যাপন
সঙ্গীর সাথে কি পাসওয়ার্ড শেয়ার করা উচিত?
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ওয়াটসঅ্যাপ এমনকি মোবাইল ফোন কিংবা ইমেইলের পাসওয়ার্ড কি সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করা উচিত?
এ নিয়ে রাকিবের সঙ্গে শিলার প্রতিদিনই ঝামেলা হয়। অফিসের প্রয়োজনে রাকিব তার ফোন পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রেখেছে। ফেসবুকের পাসওয়ার্ডও শিলার সঙ্গে শেয়ার করে না। আর এখানেই আপত্তি শিলার। শিলার কথায়, এখন আর তারা প্রেমিক-প্রেমিকা নয়। বিয়ের আগে এসব করত মানা যেত। কিন্তু এখনও এত লুকোচুরির কি আছে? কেনই বা সে সব কিছু গোপন করে রাখছে? শিলার দাবি, রাকিব যখন তার ফোন নিয়ে গেম খেলে কিংবা কোনও কিছু চেক করে কই তখন তো সে কিছু বলে না। রাকিব শিলাকে কিছুতেই বুঝিয়ে উঠতে পারে না যে ফোন সবার ব্যক্তিগত বিষয়। শিলা- রাকিবের মতো অনেক যুগলই এই বিষয় নিয়ে অশান্তি করেন।
কি করা উচিত?
মনোবিদদের মতে, প্রথমেই এই বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার থাকা ভালো যে, সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী হলেও প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত একটা পরিসর রয়েছে। ফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইমেইল -এগুলির পাসওয়ার্ড অন্যের সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। এমনকী এটিএমের পাসওয়ার্ডও খুব প্রয়োজন ছাড়া সঙ্গীকে বলবেন না। এতে নিজেদের মধ্যেই সম্পর্ক ভালো থাকে। ভবিষ্যতে অশান্তির আশঙ্কা কম থাকে।
এছাড়াও সম্পর্কে বিশ্বাস, ভরসা এবং শ্রদ্ধা বজায় থাকে। একে অপরের প্রতি সন্দেহপ্রবণতা কমবে। না হলে যদি একে অপরের পাসওয়ার্ড জানা থাকে তাহলে মাঝেমধ্যেই মনে হবে ফোন ঘেঁটে দেখি কি করছে, কার সঙ্গে চ্যাট করছে।
এছাড়াও যে কোনও সম্পর্কেই স্পেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফোন নিয়ে চুলোচুলি করলে তৃতীয় পক্ষের কাছে ভুল বার্তা যায়। তাঁদের মনে হবে নির্ঘাত কোনও লুকোচুরি রয়েছে।
সুতরাং নিজেদের সুসম্পর্ক বজায় রাখুন এবং একে অপরের প্রতি সম্মান রক্ষার্থেই পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে জানাবেন না।