শিল্প-বানিজ্য
শীর্ষ ১০০ সমুদ্রবন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৭০তম
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সমুদ্রবন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান এখন ৭০তম। ২০০৯ সালে এই বন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮তম। ধাপে ধাপে এখন তা ৭০তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ১০ বছরে দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দরটি ২৮ ধাপ এগিয়েছে।
বিশ্বের ১০০টি শীর্ষ বন্দরের তালিকায় প্রথমে রয়েছে চীনের সাংহাই পোর্ট। ২০১১ সাল থেকেই এই বন্দরটি তালিকার শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর বন্দর। তৃতীয় স্থানে থাকা চীনের শেনজেন পোর্ট। প্রথম ১০টির মধ্যে সাতটিই হচ্ছে চীনের বন্দর।
লয়েডস লিস্টের তালিকা মতে, চট্টগ্রাম বন্দর ২০১৭ সালে ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৭ একক কনটেইনার ওঠানামা করেছে; যার প্রবৃদ্ধি ৯.৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে এই বন্দর ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ একক কনটেইনার ওঠানামা করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর। ৩০ বিলিয়ন তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চট্টগ্রাম বন্দর বড় অবদান রাখছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয় বন্দরের ডিজাইন অনুযায়ী এটি পুরনো বন্দর এবং বন্দরের ইয়ার্ড ও যন্ত্রপাতিগুলো পুরনো।
এতে আরো বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বন্দরের এই অগ্রগতি এখন নিজের জন্যই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পরও বন্দরের ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০১৮ সালের মধ্যেই ছয়টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত করা, বন্দরের সম্প্রসারণ, নতুন টার্মিনাল-জেটি নির্মাণ প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছে। দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড, ভারতের আদানি পোর্ট এবং চায়না মার্চেন্ট পোর্টে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বন্দরের নতুন টার্মিনালে অংশগ্রহণের আগ্রহের কথাও গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ১০০টি বন্দরের গড় কনটেইনার প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ৬ শতাংশ কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১০ শতাংশ। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৭১তম, ২০১৫ সালে ৭৬তম, ২০১২ সালে ৯০তম এবং ২০০৯ সালে ৯৮তম।