দেশজুড়ে
ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের দুই প্রস্তাবই নাকচ করলেন তারেক!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে বয়সসীমা নির্ধারণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ থামাতে দলের দুইজন সিনিয়র নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সৃষ্ট সঙ্কটের যৌক্তিক সমাধানে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির ওই দুই সিনিয়র নেতা কাজ শুরু করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে বৈঠকে ছাত্রদলের কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ২০০০ সালের এসএসসির পরিবর্তে অনার্সে ভর্তির সেশন ২০০০ সাল করার প্রস্তাব দেয় আন্দোলনকারীরা। তখন সিনিয়র নেতারা প্রস্তাবটি নিয়ে তারেক রহমানের সাথে কথা বলা হলেও তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে বিক্ষোভ আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দলের একাধিক সিনিয়র নেতা। তারা বলছেন, ছাত্রদলের প্রথম দফা দাবি নাকচ করে দেয়ার পরে যে সংকট তৈরি হয়েছিলো তা দলের স্থিতিশীলতাকে অনেকখানি নষ্ট করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন ছাত্রদলের রাজীব আহসান ও আকরামুল হাসানের নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত করে ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। কাউন্সিলে প্রার্থী হতে গেলে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যেকোনো বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াসহ তিনটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তে সংগঠনের একটি অংশ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। বয়সসীমা বাতিল করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের জোর দাবি তুলে গত ১১ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে ভেতরে রেখে ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করে। এরপর ১২ নেতাকে বহিষ্কার করা হলে পরিস্থিতি মারমুখী হয়ে ওঠে। পরে তাদের আশ্বস্ত করা হলেও নতুন করে কোনো সমাধানের পদক্ষেপ না দেখে শর্ত শিথিল করে নতুন শর্ত দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। কিন্তু তা নাকচ করে দিয়েছেন তারেক রহমান।