আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য

চামড়া শিল্পকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নেওয়ার পরামর্শ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও ১৯ বছর পর চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের সমাপ্তি টানল সরকার। সিইটিপিসহ টেকনিক্যাল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোম্পানিকে। ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সংস্কার ও বাকি কাজগুলোর জন্য লাগবে অর্থ বরাদ্দ। তবে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, রপ্তানি খাত হওয়ায় সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এ খাতকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে আনতে হবে।

পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তুলতে সাভারের হেমায়েতপুরে ধলেশ্বরীর পাড়ে ২০০৩ সালে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। সম্পূর্ণ কাজ তিন বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংশোধনী আনা হয় চারবার।

অবশেষে প্রায় ১৯ বছর পর প্রকল্পের সমাপ্তি টানা হয় চলতি বছরের জুনে। যদিও এখনও শতভাগ কাজ শেষ করতে পারেনি বিসিক। তবে এরই মধ্যে জুলাই থেকে সিইটিপি, ট্যানারিগুলোতে পানি সরবরাহ ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কোম্পানির কাছে।

ট্যানারি মালিকদের অর্থায়নে কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে চামড়া শিল্পনগরী সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও ট্যানারি ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে ১৩ সদস্যের বোর্ড।

শিল্পনগরীর দায়িত্বভার কোম্পানির হাতে ন্যস্ত হলেও সিইটিপিসহ অনেক স্থাপনাই বিএমআরইর মাধ্যমে শতভাগ কার্যকর করতে হবে মনে করে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নির্মাণে পুনরায় টাকা কোম্পানিকে ফিরে দেওয়ার দাবি জানান সংগঠনটির মহাসচিব মো. সাখায়াত উল্লাহ।

তিনি বলেন, কোম্পানির জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ কারণে কোম্পানি এটা নিয়ে খুব হতাশ। এখানে এক সময় কিছু টাকাও বরাদ্দ ছিল। কিন্তু এ কাজটা শেষ না করে বিসিক টাকাটা ফেরত দিয়ে দেয়।

এদিকে, পরিবেশবান্ধব না হওয়া ও কমপ্লায়েন্স সুবিধা না থাকায় বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ, এলডব্লিউজির সার্টিফিকেট পাচ্ছে না চামড়া শিল্পসংশ্লিষ্টরা। অবস্থার উত্তরণে অস্থায়ী কোনো কোম্পানি নয়, স্থায়ী সমাধানে একটি রোডম্যাপ করতে হবে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

চামড়াশিল্পের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বেজা ও বেপজার মতো চামড়া খাতকেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close