ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে তুরস্ক। মাইলের পর মাইল বনভূমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আগুনে পুড়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ৮ জন। দাবানল নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দমকল বাহিনী।
গত কয়েকদিন ধরেই দাবানলে পুড়ছে তুরস্কে বিভিন্ন জায়গায়। তীব্র দাবদাহে অনেক বনে আগুন ধরে গেছে। হেক্টরের পর হেক্টর বনভূমি জ্বলছে। দেশটির এক হাজারের বেশি স্থানে এখনও আগুন অব্যাহত রয়েছে। দমকা বাতাসে পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে ভুগতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। প্রায় ৬০টি বনে গত দু’দিনে আগুন ছড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ৪৫টি বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এমন পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘দাবানল সামাল দিতে অগ্নিনির্বাপণ বিমান বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে পাঁচ থেকে ছয়টি বিমান যোগ দিয়েছে। এই বিপদে আজারবাইজানও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে’। তিনি আরও জানান, ‘এক হাজারের বেশি পয়েন্টে দাবানল অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি পর্যবেক্ষণে রয়েছে আমাদের’।
অবকাশযাপনের জন্য আকর্ষণীয় স্থান মুওলা প্রদেশের মারমারিসেও দাবানলের খবর পাওয়া গেছে। তুর্কি সরকারের তথ্যমতে, ১ হাজার ৮০টি পানির ট্রাক, ২৮০টি জলবাহী ট্যাংকার এবং ১০ হাজার ৫৫০ জন দমকল কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া চার হাজারের বেশি প্রযুক্তি কর্মীও নিরলসভাবে পরিশ্রম করছেন।
যাদের ঘর-বাড়ি, পশু পুড়ে গেছে তাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এরদোয়ান। দাবানলের কারণ অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সপ্তাহব্যাপী চলা তীব্র দাবদাহের কারণে তুরস্কে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু তুরস্কই না, ইউরোপের নানা অঞ্চল প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত। দাবানলে পুড়ছে প্রতিবেশী দেশ গ্রিস। দেশটিতে এখন পর্যন্ত দাবানলে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে এবং এভিয়া দ্বীপে আগুন জ্বলছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দা এবং পর্যটকদের মাছধরা নৌকা ও ফেরিতে করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানল পৌঁছে গেছে ঐতিহাসিক অলিম্পিয়া শহরের কাছাকাছি।