বিনোদন
পর্নোগ্রাফি মামলায় শার্লিনকে জিজ্ঞাসাবাদ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পর্নোগ্রাফি মামলায় বলিউড তারকা শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রা আর অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার বিপদ বাড়ছে। দুজনেই ক্রমে জড়িয়ে পড়ছেন মামলায়। অভিযোগের নানা প্রমাণ মিলছে।
গত ১৯ জুলাই রাতে রাজকে ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেপ্তার করে। রাজের বাসা ও অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। জুহুর বাংলোতে রাজ ও শিল্পাকে পাশাপাশি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। কানপুরে রাজের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। ২৩ জুলাই রাজকে আরও চার দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়েছিল।
২৩ ও ২৮ জুলাই নিম্ন আদালত রাজকে জামিন আবেদন নাকচ করে ১৪ দিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শার্লিন এপ্রিল মাসে রাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এই মামলার সঙ্গে অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার নাম বারবার এসেছে নানা পরিপ্রেক্ষিতে।
এই বলিউড অভিনেত্রী রাজের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজকে নিয়ে নানান তথ্য ফাঁস করেছেন। মুম্বাই পুলিশের অনুমান, পর্নোগ্রাফি মামলায় শার্লিন আরও অনেক তথ্য দিতে পারেন। অভিনেত্রীকে সমন পাঠিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আজ আবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জানা গেছে, শার্লিনকে সামনে বসিয়ে জেরা করতে চায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এ কারণেই সমন পাঠানো হয়েছে। একটি মামলায় তাঁকেও আসামি করা হয়েছে।
সম্প্রতি শার্লিন অভিযোগ করেছেন যে রাজ তাঁকে এই পর্নোগ্রাফি ছবির ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন। আর তাঁকে ছবিপ্রতি ৩০ লাখ রুপি দেওয়া হতো। তাঁকে রাজ ‘হটশটস’ অ্যাপের জন্য শুট করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও শার্লিনের দাবি, তিনি ‘হটশটস’ অ্যাপের জন্য শুট করতে অস্বীকার করেছিলেন।
মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ২৬ জুলাই শার্লিনের বয়ান নথিবদ্ধ করার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় শার্লিন মুম্বাই আদালতে অগ্রিম জামিন নিয়েছিলেন। শার্লিন জানিয়েছিলেন যে রাজের মতো তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার ভয় আছে। অভিযোগে শার্লিন বলেছিলেন যে রাজ কুন্দ্রা ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ তাঁর বাসায় এসেছিলেন। রাজ তাঁর সঙ্গে জোরজবরদস্তি করেছিলেন।
কারণ, তিনি রাজকে এই ধরনের আচরণ করতে নিষেধ করেছিলেন। আর রাজের ব্যবসার সঙ্গেও তিনি জড়াতে চান না বলে জানিয়েছিলেন।
/আরএম