বিনোদন
পরীমনি প্রসঙ্গে যা বললেন অরুণা বিশ্বাস
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সম্প্রতি সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করে আলোচনায় আসেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনি। এবার পরীমনিকে নিয়ে মুখ খুলেছেন ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অরুণা বিশ্বাস।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) একটি এফএম রেডিওর সাক্ষাৎকারে পরীমনিকে উদ্দেশ করে অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘একটা শিল্পী কত টাকা ইনকাম করলে পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি চালাতে পারে, চার কোটি টাকার বাড়ি কিনতে পারে। আমাকে ১০-১২টা ছবির করার পর গাড়ি কিনতে হইছে তাও অনেক কম দামি গাড়ি।’
অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘আমি যে মেয়েটাকে (পরীমনি) দেখেছি ছবিতে ১০০ টাকা কনভেন্স নেওয়ার জন্য তার ভাইবোন দাঁড়ায় থাকত, সেই মেয়েকে ২-৪ বছর পর দেখি ৬ তলা বাড়ির মালিক হয়ে যায়, দেশ-বিদেশি ঘুরে বেড়ায়। এগুলো সামাজিকভাবে কারো মনে প্রশ্ন জাগে না? দেশে কি দুদক নাই? দুদকের মনে প্রশ্ন জাগে না? এই টাকাগুলো কোথা থেকে আসতেছে? কীভাবে আসতেছে? একজন শিল্পী কোথা থেকে এত টাকা পায়?’
এ সময় অরুণা বিশ্বাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা তো সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমরা একটা ছবি ভালো হবে এ জন্য কম টাকায় কাজ করেছি। একটা ছবি ভালো হবে এ জন্য আমরা টাকা নেই। একটা ছবি ভালো হবে এ জন্য অনেক সময় ড্রেস ডিমান্ড করি নাই। কিন্তু আমাদেরকে তো সুপারস্টার বলে না। সুপারস্টার বলে ওদেরকে। এখনো যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ওদেরকে সামনের সারিতে বসতে দেয়া হয়। ওদের কোন ছবিটা হিট করেছে? আমাদের তো হাজার হাজার ছবি হিট করেছে। আমাদের সময় সিনেমা হল হাউজফুল থাকত। তবুও আমাদের সুপারস্টার বলা হয় না।’
পরীমনি ক্লাবে যাওয়ার প্রসঙ্গে অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘লেটনাইট করে একটা মানুষ কোথাও যেতেই পারে, এটা তার স্বাধীনতা। কিন্তু গিয়ে আমি কি করব এটাও আমার নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। কারণ এটা বাংলাদেশে। এটা আমেরিকা-কানাডা নয়। বাংলাদেশের একটা কালচার আছে। আর আমেরিকা-কানাডাতে গিয়েও বারে মাতলামি করলে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে, সে যত ক্ষমতাধর মানুষই হোক না কেন। আমাদের আইনের মধ্যে থাকতে হবে।’
অরুণা বিশ্বাস একজন বাংলাদেশি টেলিভিশন, মঞ্চ এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে তিনি একজন টেলিভিশন নাটকের পরিচালক। তিনি কাজী নজরুল ইসলামের দোলনচাঁপা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বনের পাপিয়া ও দৃষ্টিদান এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শিয়রে আঁকা ছবি ও বড় দিদি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন।