বিনোদন
আমার ৮-১০ বছর পর্যন্ত অনেক কষ্টে দিন কেটেছে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ‘আমার ৮-১০ বছর পর্যন্ত অনেক কষ্টে দিন কেটেছে। খাবারটাও ঠিকমতো পাইনি। তারপর আলহামদুলিল্লাহ, আমার ফ্যামিলি এই অবস্থা ওভারকাম করতে পেরেছে।’ —অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে কাটানো সময়গুলোর কথা এভাবেই বললেন চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ছোটবেলায় নিজের কষ্টের কথা মুখ ফুটে বলেছেন বর্ষা। তিনি জানান, বর্ষা সাধারণ পরিবারে বড় হয়েছেন। তাকে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েই বড় হতে হয়েছে।
অনন্ত জলিলের সহধর্মিণী বর্ষাকে জীবনের দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করতে খুবই কম দেখা যায়। সম্প্রতি তিনি বলেন, আমি খুব সাধারণ ঘরের মেয়ে। এমনও হয়েছে সকালে স্কুলে চলে গেছি না খেয়েই। কারণ আমার ঘরে খাবারও ছিল না। একদিন হঠাৎ স্কুলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার টিচার আমাকে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে ডিম-খিচুড়ি খাইয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাইমারি শেষ করে হাই স্কুলে যাওয়ার পরও টিচারদের ভালোবাসা পেয়েছি। বার্ষিক অনুষ্ঠানে নাটক করতে শিক্ষকরা আমাকে ছেলেদের চরিত্র দিতেন। একবার চেয়ারম্যান চরিত্রে অভিনয় করে কলম উপহার পেয়েছিলাম।
২০১০ সালে ইফতেখার চৌধুরীর ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে। তার ক্যারিয়ারে খোঁজ : দ্য সার্চ, হৃদয় ভাঙা ঢেউ, মোস্ট ওয়েলকামের মতো বৃহৎ বাজেটের চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য চরিত্রে ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে তার দ্বীন দ্য ডে নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। যার বড় অংশের শুটিং হয়েছে ইরান ও তুরস্কে। এতে বর্ষার নায়ক যথারীতি স্বামী অনন্ত জলিল।
বর্ষা মুনসুন ফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি অনন্ত জলিলকে বিয়ে করেন। এখন এবি গ্রুপ নামের একটি গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও নিয়মিত পালন করছেন। বর্ষা সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পরিবারের বড় সন্তান। তার চার ভাই-বোন মীম, রাশী, মৌ এবং আকাশ।
/এন এইচ