বিশ্বজুড়ে
দিল্লিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: এবার ভারতের দিল্লিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দিল্লির উপ–রাজ্যপাল অনিল বাইজাল মহামারি রোগ আইন-১৮৯৭ এর আওতায় কিছু বিধিবিধান জারি করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দিল্লিতে বর্তমানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৭৭৩ জন। বৃস্পতিবার এক দিনে ১৫৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজাল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি রোগ হিসেবে ঘোষণা দেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ মে) পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারসহ বিভিন্ন রাজ্য সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাজ্যের কোথাও কোনো মিউকরমাইকোসিসের রোগী ধরা পড়লে তা মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিসকে জানাতে হবে। রোগী কোথাকার বাসিন্দা, তার কী চিকিৎসা চলছে জানাতে হবে তাও। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে রোগটির চিকিৎসা সম্পর্কিত নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস একটি বিরল ফাঙ্গাল সংক্রমণ। এটি শরীরে দেখা দিলে ৫৪ শতাংশ রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। অনেকক্ষেত্রে তা ৮০ শতাংশ পর্যন্তও হয়ে থাকে। কোভিড সংক্রমণ থেকে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও তার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। তখনই এই জাতীয় ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধে। যে সব রোগীকে দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস রয়েছে, তাদের শরীরের এই জাতীয় সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে।
এই রোগের উপসর্গগুলি কী কী:
আপনার যদি এই ছত্রাকের সংক্রমণ হয় তবে গালে ব্যথা হতে পারে। এটি গালের একপাশে বা উভয় দিকেই হতে পারে, এটিই এই ছত্রাকের সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ। পরে এই সংক্রমণের কারণে মুখের ক্ষতও তৈরি হতে পারে। এগুলি ছাড়াও এই সংক্রমণ ত্বক সম্পর্কিত আরও অনেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে।