ধামরাইপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
ধামরাইয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিতে চেয়ারম্যানের চাপ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রথমবার শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সাধারণ ক্ষমা করে ভুক্তভোগী পরিবার। তবে একই শিশুকে দ্বিতীয় বারের মত ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদ মোমিন (১৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে মোমিনকে ছাড়াতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আজহার উদ্দিন বাদিকেই চাপ প্রয়োগ করছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের বাদিগাওয়াইল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এঘটনায় অভিযোগ দায়ের করায় ভুক্তভোগী পরিবারকে মারধোরসহ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আটক মোমিন উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের বাদিগাওয়াইল এলাকার আয়নাল হকের ছেলে ও ভুক্তভোগীর শিশুর চাচাতো ভাই।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা বলেন, এর আগেও আমার শিশু কন্যার ওপর নির্যাতন চালায় মোমিন। সেবার আমি ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। তিন থেকে চার দিন আগেও একই ঘটনা ঘটায়। আমি আজ জানতে পেরে আর ঠিক থাকতে পারি নি, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পরে রাতেই পুলিশ মোমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে মোমিনের বাবা আমাকে মারধর করে। কে যেন আবার বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। একটা ঘর পুড়ে গেলে এলাকাবাসী এসে আগুন নেভায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডাক দিয়ে কবির নামে এক ভাই বলেন, তোমার ভাতিজাকে ধরিয়ে দিছো কেন? প্রথমবারেই ধরিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিলো বলতেই আমার হাতে মোবাইল দিয়ে কবির বলেন, এই নাও চেয়ারম্যান কথা বলবেন। মোবাইল কানে ধরতেই চেয়ারম্যান বলেন মোমিনকে থানা থেকে আনতে। রাজি না হলে তিনি বলেন তাহলে কি মোমিন সাজা খাটবো? পরে মোবাইল কবিরের হাতে দিয়ে দেই।
একাধিক ধর্ষণের অভিযুক্তকে ছাড়াতে বাদীর ওপর চাপ প্রয়োগের ব্যাপারে জানতে সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহার উদ্দীনকে ঢাকা অর্থনীতি’র পক্ষ থেকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, মারধোর ও বাড়িতে আগুন ধরানোর অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযুক্তকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
/আরএম