বিশ্বজুড়ে
মাদক উৎপাদনে শীর্ষে আফগানিস্তান
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মাদক প্রতিরোধে প্রতিটি দেশ খুবই জোরদার ভুমিকা পালন করছে। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহলের জন্য প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ে। তারমধ্যে কয়েকটি এমন দেশ রয়েছে, যেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের ঘাঁটি হিসেবে চিহিৃত করা হয়। যেমন-
আফগানিস্তান: অবাক হবেন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হয় আফগানিস্তানে। জাতিসংঘের হিসেবে, প্রতি বছর প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টন কাঁচা আফিম উৎপাদন হয় সেখানে। ন্যাটো বাহিনীর সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর আরো বেশি পরিমাণ জমিতে আফিমের চাষ হচ্ছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়া হচ্ছে, আফগানিস্তানের আফিমের মূল ক্রেতা।
কলম্বিয়া: এদিকে কোকেন উৎপাদনে বিশ্বে সেরা কলম্বিয়া। জাতিসংঘের হিসেবে কলম্বিয়ায় প্রতি বছর তিন থেকে চার’শ টন কোকেন উৎপাদিত হয়। এছাড়া পেরু ও বলিভিয়াতেও কোকেনের চাষ হয়। ল্যাটিন অ্যামেরিকা, উত্তর অ্যামেরিকা আর ইউরোপ কোকেনের সবচেয়ে বড় বাজার।
মরক্কো: উত্তর আফ্রিকার মরক্কোতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় হাজার টন মারিজুয়ানা ও হাশিশ উৎপাদিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে সীমিত আকারে মারিজুয়ানা বা গাঁজার ব্যবহার বৈধ করায় এর চাষ আরও বেড়েছে।
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল: মাদক উৎপাদনে এশিয়ার তিন দেশ মিয়ানমার, লাওস আর থাইল্যান্ড ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ নামে পরিচিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিন দেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় এক হাজার টন আফিম উৎপাদিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো: মেথাম্ফেটামিন বা ক্রিস্টাল মেথ হলো এক ধরণের মাদক, যেটা এক ধরণের সুখানুভূতি এনে দেয় বলে মনে করেন এর সেবনকারীরা। ইদানীং এই মাদক সেবনের হার বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে কোন দেশে এটা সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় তা জানা যায়নি। তবে ক্রিস্টাল মেথ ল্যাবেও তৈরি করা যায়। তাই সারা বিশ্বে পুলিশ এ ধরনের ল্যাবে অভিযান চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত যত অভিযান হয়েছে, তার ৮০ ভাগই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকোর ল্যাবে। ( তথ্য: বিভিন্ন সূত্র)