জীবন-যাপন

১৯ মার্চ, আজ বিশ্ব ঘুম দিবস

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ১৯ মার্চ, আজ ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে বা বিশ্ব ঘুম দিবস। সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে ২০০৮ সাল থেকে‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন’ বিশ্ব নিদ্রা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতি বছর মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার এ দিনটি পালন করা হয়। এ দিনটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুস্থ্যতার জন্য সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা এবং নিদ্রাহীনতা ও এর চিকিৎসা, নিবারণ, শিক্ষা জনসমক্ষে তুলে ধরা।

বিশ্ব ঘুম দিবস মূলত ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিনের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইভেন্ট। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ‘নিয়মিত ঘুম: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’।

গবেষণায় জানা যায়, কম পক্ষে বিশ্বের ১০০ মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এর মধ্যে আমেরিকান ২২ মিলিয়ন মানুষ নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। গবেষণায় আরো জানা যায়, ছুটির দিনে দুই ঘণ্টা বেশি ঘুমালে দেহঘড়ি ৪৫ মিনিট বিলম্বিত করে। এর ফলে ছুটির দিনের আগের রাতে ঘুম কম হয়, এতে পরের দিনের কাজে পরিশ্রান্ত মনে হয়, শরীর ও মন কাজের উপযোগী থাকে না।

নিদ্রাহীনতার ফলে স্বাস্থ্যহানীর হুমকিতে আছে বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ মানুষ! এ কারণে প্রতি রাতেই আট ঘণ্টা করে ঘুমানোর পরামর্শ দেন গবেষকরা। ছুটির দিন শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়ার জন্য ছয় থেকে আট মিনিট রোদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। কারণ সূর্যের আলো দেহঘড়ি ঠিক রাখে। কম মাত্রার ভিটামিন ‘ডি’ এর কারণে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ক্যান্সার ও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। অস্টিওপোরোসিস হচ্ছে এমন একটি রোগ, যার ফলে মানুষের হাড়ের ওজন ও ঘনত্ব কমে যায়। হাড়ের আকার বাড়ে কিন্তু এর মধ্যে বহু ছিদ্র সৃষ্টি হয়। এর ভঙ্গুরতাও বাড়ে।

গবেষণায় বলা হয়েছে ঘুমের নানা ইতিবাচক দিকের কথা। প্রতিদিন ঘুম ভালো হলে তার প্রভাব পরবর্তী জীবনে দারুণ পড়তে পারে। টেক্সাসের বেয়লর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিশন ল্যাবরেটরি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখানো হয়, মধ্যবয়সে ভালো ঘুম ভবিষ্যতের মানসিক প্রশান্তির জন্য দারুণ এক পুঁজি হিসেবে কাজ করে। মধ্যবয়স বলতে ত্রিশোর্ধ্ব সময়কে বোঝানো হয়েছে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close