দেশজুড়ে

দলীয় মনোনীত প্রার্থী বাদ দিয়ে বিদ্রোহীদের মদদদাতা নেতাদের তালিকা করছে আ.লীগ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পৌরসভা নির্বাচনে দল মনোনিত প্রার্থীদের বাদ দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দিচ্ছেন এরকম নেতাদের তালিকা করছে আওয়ামী লীগ। প্রত্যেককে ডাকা হবে। কারণ জানার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা ছাড়াও এ তালিকায় আছেন এমপি প্রতিমন্ত্রীও।

গত দুই ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আটটি পৌরসভায় মেয়র পদে জয় পান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বেশকটিতে নৌকার হারের কারণও দলের বিদ্রোহীরা। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও বিদ্রোহীরা আছেন মাঠে। সবশেষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তাপের অন্যতম কারণ ১২ বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী। সেখানেও জয় পান চার কাউন্সিলর প্রার্থী।

দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, বিদ্রোহীদের মদদ দেয়া এবং নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ে কলকাঠি নেড়েছেন এমন দলীয় নেতাদের তালিকা তৈরি করছেন সাংগঠনিক সম্পাদকেরা। দলের কার্যনির্বাহী সভায় এ নিয়ে হবে আলোচনা।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘এমপিরা ও হয়তো মন্ত্রীরা সমর্থন করেছেন। এমনকি অনেক জেলার নেতারাও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন করেছেন। এ সমস্ত রিপোর্ট আমাদের দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। এবং এটা আমাদের যে পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হবে সেখানে সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত হবে।’

সবশেষ ২৬ ডিসেম্বর মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতির একটি প্রতিবেদন তুলে দিয়ে -অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় যে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আচে, কার সঙ্গে কার দ্বন্দ্ব এ বিষয়ে সমগ্র প্রতিবেদন আমাদের হাতে দিয়েছেন। আমরা সেগুলো স্টাডি ও হোমওয়ার্ক শুরু করেছি। আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। মাননীয় নেত্রী আমাদের তৎপর হতে বলেছেন।’

বিরোধী দলের নিস্ক্রিয়তায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে মতবিরোধে জড়াচ্ছেন নেতারা এরকম দাবি দলের আরেক নেতার। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান জানান, ‘বিরোধী দলগুলোর নিস্ক্রিয়তা ও তাদের কোস সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকা সেক্ষেত্রে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ তো আ.লীগ পেয়েছেই। তো সেই সুযোগে দলের আভ্যন্তরীণ পর্যায়ে এক নেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে বলা, আবার সে তাকে পাল্টা বলা। এ জাতীয় কথাবার্তাগুলোই আছে।’

দলটির নেতারা বলছেন তৃণমূলে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close