প্রধান শিরোনাম
সব প্রস্তুতি শেষ, ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে যুক্তরাজ্যে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সব প্রস্তুতি শেষ, ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে যুক্তরাজ্যে। এখন কেবল প্রয়োগের পালা। প্রথম ধাপের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ ও হাসপাতালে ভর্তি ঠেকানোর আশা করছে ব্রিটেন।
বেলজিয়ামে উৎপাদিত হচ্ছে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন। যুক্তরাজ্যের অনুমোদনের পর এখন তা সরবরাহ করছে মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার।
এরইমধ্যে চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে যুক্তরাজ্যে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ভ্যাকসিন মজুদের স্থান প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রস্থলে এই ভ্যাকসিন রাখা হয়েছে। এখান থেকেই হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রথম ধাপে চার কোটি ডোজ দেয়া হবে ২ কোটি মানুষকে। ইংল্যান্ডের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের এই ভ্যাকসিন দিয়ে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। ঠেকানো যাবে হাসপাতালে ভর্তিও।
কারা পাচ্ছেন এই ভ্যাকসিন?
১। এরপরই পাবেন ৮০ বছরের বেশি বয়সীরা ও সামনের সারির স্বাস্থ্য ও সেবাকর্মীরা।
২। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বয়স্ক ও তাদের সেবকরা সবার আগে এই ভ্যাকসিন পাবেন।
৩। ৭৫ বছরের বেশি বয়সীরা।
৪। ৭০ বছরের বেশি বয়সীরা এবং একই সঙ্গে মুমূর্ষুরা থাকবেন এই তালিকায়।
৫। ১৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর তারাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পাবেন।
৬। এরপর অগ্রাধিকার দেয়া হবে ক্রমান্বয়ে ৬০, ৫৫ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের।
করোনা থেকে পূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জনে লাগবে দুইটি ডোজ। প্রথম ডোজ নেয়ার পর ১২ দিন পর রোগ প্রতিরোধ গড়তে শুরু করবে ফাইজার বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। ২১তম দিনে নিতে হবে ২য় ডোজ। ২৮তম দিনে পূর্ণ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন ভ্যাকসিন গ্রহণকারী।
/এন এইচ