আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

রাজধানী ও আশুলিয়ায় ১৮ কোটি টাকা মূল্যের জাল স্ট্যাম্প-ডাকটিকিট উদ্ধার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ১৮ কোটি টাকার বেশি মূল্যের জাল স্ট্যাম্প, ডাকটিকিট, কোর্ট ফিসহ জালিয়াত চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, রাজধানীর পুরনো পল্টন ও ঢাকার আশুলিয়া এলাকা অভিযান চালিয়ে জালিয়াত চক্রের ৪ সদস্য আকাশ, সোহেল, রনি ও আবদুল আজিজকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জাল স্ট্যাম্প তৈরির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, প্রিন্টার, লোহার সেলাই মেশিন, ২টি ইলেক্ট্রনিক সেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে হাফিজ আক্তার জানান, পলাতক মনির মোল্লা ও সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের সহায়তায় দীর্ঘদিন যাবত জাল স্ট্যাম্প বানিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা।

আর এসব জাল স্ট্যাম্প অবৈধভাবে তৈরির খরচের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রির তথ্য তুলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, জাল স্ট্যাম্প তৈরিতে খরচ হয় ১৫-১৬ টাকা। আর ২৫ থেকে ৩০ টাকায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে।’

এসব জাল স্ট্যাম্প, ডাকটিকিট ও কোর্ট ফি সরবরাহের কৌশল সম্পর্কে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, বাজারে সাধারণত যেসব স্ট্যাম্প বিক্রি হতো, সেখানেই এসব জাল স্ট্যাম্প ঢুকিয়ে দেয়া হতো।

ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়, ‘১৮ কোটি টাকার অধিক মূল্যমানের এসব জাল স্ট্যাম্প, ডাকটিকিট ও কোর্ট ফি যদি জব্দ না করা হতো, তবে এগুলো সারা দেশে দেশের ছড়িয়ে যেতো এবং সরকার রাজস্ব হারাতো। এগুলো ব্যবহার করেই নিয়মিত কাজ চলতো অনেকেই।’

জাল স্ট্যাম্প তৈরির কাজটি যে খুব সহজেই করতে পারছে জালিয়াত চক্র, সেটিও উঠে আসে গোয়েন্দা পুলিশের ব্রিফিংয়ে।

সংস্থাটির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘জাল স্ট্যাম্প তৈরির কার্যক্রম খুব সহজ বলে জানিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা। যেহেতু অনেক কিছু জিজিটালাইজড হয়ে গেছে, সে কারণে এটি সহজ হয়ে গেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা অনুরোধ করবো যাতে এগুলোর নিরাপত্তা আরো বাড়ানো যায়। নকল জাল স্ট্যাম্প, ডাকটিকিট, কোর্ট ফি বিক্রি না হয়, সে ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।’

এসব অবৈধ কার্যক্রমের পেছনে অন্য কোনো সংস্থা জড়িতের বিষয়টি খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘অন্য কে জড়িত আছে, অন্যান্য সংস্থার লোকজনও জড়িত আছে কিনা; সে বিষয়টাও আমরা তদন্ত করে দেখবো।’

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close