শিল্প-বানিজ্যশেয়ার বাজার
ডিএসইর লেনদেন নেমে তিনশ কোটিতে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর শেয়ারবাজারের মন্দাভাব চলতি সপ্তাহেও অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে ৯ কার্যদিবস পর ডিএসইর লেনদেন আবার তিনশ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে।
গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়। প্রস্তাবিত বাজাটে শেয়ারবাজারের জন্য বেশকিছু প্রণোদনা দেয়া হয়। কিন্তু বাজেট ঘোষণার পর শেয়ারবাজারের প্রথম কার্যদিবসেই বড় দরপতন হয়, যা পরের কার্যদিবস অব্যহত থাকে। তবে ১৮ ও ১৯ জুন মূল্য সূচকের কিছুটা উত্থান প্রবণতা দেখা যায়।
দুই কার্যদিবস কিছুটা উত্থান প্রবণতা দেখা গেলেও ২০ জুন আবার দরপতন দেখা দেয়। এরপর ২১ ও ২২ জুন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি। দুই দিন লেনদেন বন্ধ থাকার পর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দরপতন দিয়ে শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮৩ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৩২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
ডিএসইর বাছাই করা কেম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকটি কিছুটা বাড়লেও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৮৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কিছুটা হলেও লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে। ৯ জুনের পর লেনদেন আবার তিনশ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। দিনভর ডিএসইতে ৩৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ১০৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।