বিশ্বজুড়ে
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ছেড়ে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যের হাথ্রাসে গণধর্ষণের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দলিত নারীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তারা। মুক্তির পর তাদের আবার পুলিশি নিরাপত্তা দিল্লি পৌঁছে দেয়া হয়।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ধাক্কায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাহুল গান্ধী। নিরাপত্তা বাহিনীর এমন আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতারা।
গ্রেফতারের আগে রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ আমাকে আঘাত করেছে। ধাক্কা দিয়েছে। আমার ওপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে। মাটিতে ফেলে দিয়েছে আমাকে। আমি জানাতে চাই, শুধু কি নরেন্দ্র মোদি দেশে হাঁটতে পারবেন? সাধারণ মানুষ কি দেশে চলাফেরা করতে পারবে না? আমাদের গাড়ি থামিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই আমরা পায়ে হেঁটে হাথ্রাসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।
গণধর্ষণের শিকার হয়ে মারাত্মভাবে আহত হন দলিত সম্প্রদায়ের ওই নারী। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার তিনি মারা যান। ওইদিন রাতেই তড়িঘড়ি করে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করে পুলিশ। তার মৃত্যুর পরই ভারতজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। যা ধীরে ধীরে বিক্ষোভে রূপ নেয়।
কংগ্রেস নেতাদের রোড মার্চের খবরে করোনাকে ইস্যু বানিয়ে জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর প্রদেশে পুলিশ। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাজ্যের প্রবেশ পথে দেয়া হয় ব্যারিকেড। পরে রাস্তা দখলে নিয়ে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যায় কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু গ্রেটার নোইদায় পৌঁছানোর পর তাদের গাড়ি বহর আটকে দেয়া হয়। যা হাথ্রাস থেকে ১৪২ কিলোমিটার দূরে। পরে রাহুল গান্ধীসহ নেতাকর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে হাথ্রাসের উদ্দেশে রওনা দেন।
ধর্ষণের অভিযোগে উচ্চবর্ণের চার হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তদন্তের জন্য ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বিশেষ তদন্তকারী দলের। তবে সেখানে গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
/এন এইচ