দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
বয়স্কভাতা পাচ্ছেন ৪৯ লাখ প্রবীণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশে বর্তমানে ৪৯ লাখ প্রান্তিক প্রবীণ নাগরিক মাসিক ৫০০ টাকা হারে বয়স্কভাতা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণবান্ধব অনেক কর্মসিূচ হাতে নিয়েছেন।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তিনি বয়স্কভাতা কর্মসূচি প্রবর্তন করেন। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২০ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আজকের যারা প্রবীণ তারাই দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আজকের প্রবীণরাই মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। প্রবীণদের সম্মানজনক জীবনযাপন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রণীত বাবা-মার ভরণপোষণ আইন ২০১৩ ও জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা পর দীর্ঘ ২১ বছর যারা দেশ পরিচালনা করেছেন তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে গেছেন। ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য অদ্যবধি কাজ করছেন। দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নিয়ে সব ক্ষেত্রে সফলতা নিয়ে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করোনা মহামারি মোকাবিলা করছে। করোনাকালে প্রবীণদের স্বাস্থ্যের দিকে সবাইকে যত্নশীল হতে হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রবীণ নাগরিককে ভাতার আওতায় আনা হবে।
আলোচনা সভায় জানানো হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে প্রবীণদের জন্য আয় সৃষ্টিকারী কার্যক্রম গ্রহণ, তৃণমূল পর্যায়ে প্রবীণদের জেরিয়াট্রিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ এবং হাসপাতাল নির্মাণ করবে। এরইমধ্যে দেশের আটটি বিভাগে প্রবীণদের জন্য প্রবীণ নিবাস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ জন করে অসহায় প্রবীণদের আবাসন ব্যবস্থা করা হবে।
/আরএম