দেশজুড়ে
নেশার টাকা না পেয়ে নিজের বাবা, স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে কুপিয়ে জখম
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের নেশা করতেন রফিকুল ইসলাম (৩৫)। জুয়া খেলার অভ্যাস ছিল। নেশার বিষয়ে বাবা ও স্ত্রী প্রায়ই বাধা দিতেন। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নেশার টাকা না পেয়ে নিজের বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়েছেন তিনি। গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন এর ছেলে। আহতরা হলেন, রফিকুলের বাবা রিয়াজ উদ্দিন, রফিকুলের স্ত্রী মোসাম্মৎ মিতা (২৬) ও মেয়ে মোছা. তুলি (১৩)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে শুধু মেয়ে তুলিকে রেখে বাকিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তুলিকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রতিবেশী মোহাম্মদ খোকা বলেন, রফিকুল বাড়ির পাশে পান-সুপারির ব্যবসা চালান বাবার সাথে। তিনি সব সময় নেশা করতেন। এলাকায় সবাই তাকে নেশাখোর হিসেবেই চেনেন। মাঝে মাঝে বাবার কাছে নেশার টাকা চেয়ে না পেলে উত্তেজিত হয়ে পড়তেন।
তিনি আরও বলেন, বুধবার বিকেলের দিকে চিৎকার-চেঁচামেচি শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এসে রিয়াজ উদ্দিনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পাশেই আহত হয়ে পড়েছিলেন রফিকুলের স্ত্রী ও শিশু সন্তান। রিয়াজ উদ্দিনকে সুপারি কাটার যন্ত্র দিয়ে ঘাড়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। স্ত্রীর পিঠ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়েছে। কোপের আঘাতে আঙ্গুল কেটে গেছে শিশু সন্তানের।
অপর প্রতিবেশী চম্পা বেগম বলেন, লোকজন আসার আগেই রফিকুল ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছেন। পরে এলাকাবাসী আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, রফিকুল দীর্ঘদিন ধরেই নেশা করেন। এছাড়া জুয়া খেলায়ও নেশা আছে তার। এসব বিষয় পরিবার মেনে নিতে পারছিল না। তার ধারণা নেশার টাকার জন্য হয়তো বাবা ও স্ত্রীকে কুপিয়েছেন তিনি।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, রফিকুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। তিনি বাবা, স্ত্রী ও সন্তানকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে গেছেন। পরে আহতদের স্থানীয়রা প্রথমে মাওনা চৌরাস্তার একটি হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে গেছেন। আহত শিশুকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
/এন এইচ