প্রধান শিরোনামব্যাংক-বীমাশিল্প-বানিজ্য
রফতানিকারকদের জন্য বিশেষ ঋণ সহায়তা দিতে প্রিশিপমেন্ট তহবিল গঠন
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদন ও রফতানিকারকদের জন্য বিশেষ ঋণ সহায়তা দিতে প্রিশিপমেন্ট ক্রেডিট পুনঃঅর্থায়ন স্কিম নামের ৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিন বছর মেয়াদি এ স্কিমের গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ঋণের সুদহার হবে ৬ শতাংশ।
কিন্তু বিভিন্ন শর্তের কারণে ঋণ পেতে সমস্যা হওয়ায় পুন:অর্থায়ন তহবিলের বেশ কিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এখন এই ঋণ পেতে আগের মতো বেশি দলিলপত্র দিতে হবে না। সহজে পাওয়া যায় এমন কয়েকটি দলিল দেখিয়েই ঋণ পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ২৭ আগস্ট জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাব মোকাবিলা করে রফতানি খাত যেন দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য এ সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করে রফতানিকারকদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আগের নীতিমালা অনুযায়ী এ ঋণ পেতে আবেদনের সঙ্গে ৯ ধরনের দলিলপত্র জমা দিতে হত। এর মধ্যে ছিল ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত সনদ বা মঞ্জুরিপত্র, ঋণ বিতরণের বিবরণী, সুদসহ মূল অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকারপত্র, রফতানি আদেশের কপি, ঋণপত্রের কমার্শিয়াল ইনভয়েস, বিল অব ল্যান্ডিং, এয়ারওয়ে বিল বা কার্গো রিসিপ্ট, বিল অব এক্সপোর্ট এবং রফতানি পণ্য তৈরি সম্পন্ন করার প্রত্যয়নপত্র।
নতুন নিয়মে এ ঋণ পেতে চার ধরনের দলিলপত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে- ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত সনদ বা মঞ্জুরিপত্র, ঋণ বিতরণের বিবরণী, সুদসহ মূল অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকারপত্র এবং রফতানি আদেশের কপি। আগের মতো এখন আর ঋণপত্রের কমার্শিয়াল ইনভয়েস, বিল অব ল্যান্ডিং, এয়ারওয়ে বিল বা কার্গো রিসিপ্ট, বিল অব এক্সপোর্ট ও রফতানি পণ্য তৈরি সম্পন্ন করার প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে না।
/এন এইচ