দেশজুড়ে

মদ খাইয়ে কিশোরকে টিকটক ভিডিও তৈরি, আটক ৮

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টিকটক খ্যাত শরিফকে মদ খাইয়ে টিকটক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৮জনকে আটক করে করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা সবাই স্কুল ও কলেজের ছাত্র।

সোমবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। টিকটক খ্যাত শরিফ মিয়া (১৩) উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়ের গড় গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

রবিবার (২৩ আগস্ট) রাতে আটককৃতদের এবং ভিকটিম শরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় ভিকটিম শরিফের বড়ভাই শামীম বাদী হয়ে আটক ৮জনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও আইসিটি আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে বাদাঘাট বাজারের সততা স্টোরের মোজাম্মেল হকের ফেসবুক আইডি থেকে অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য ও প্রশাসন, সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিশোর শরিফের ছবি ও একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ওই ভিডিওতে শরিফ জানায়, বাদাঘাটের কয়েক যুবক তাকে জোর পূর্বক মদ খাইয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের টিকটক ভিডিও তৈরি করে তা ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে।

বিষয়টি সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএমের নজরে আসলে উনার দিকনির্দেশনায় তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান ও বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান বিষয়টি গোপনে তদন্ত শুরু করে।

রবিবার দুপুরে শরিফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভিডিও ভাইরালের ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ও এই ভিডিও ফেইসবুকে আপলোড করায় উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মৃত আ. গফুরের ছেলে মোজাম্মেল হকসহ(২২) মদ খাওয়ানো ও ঠিকটক তৈরির সাথে জড়িত থাকায় উত্তর ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শেখ আব্দুর রহমানের ছেলে আলম শেখ(২৩), আনোয়ার হোসেন রুমানের ছেলে তারেক(২২), নাজিম উদ্দিনের ছেলে দীপু (২২), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি(১৭), বাদাঘাট গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ(১৬), দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের পাগল পুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে মনির মিয়া (১৯) ও হাবিবুর রহমান সংগ্রামের ছেলে সাগরকে(২১) জড়িত সন্দেহে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, ভিকটিমের বড় ভাই শামীম বাদী হয়ে মোট ১০জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত ৮জনকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।

/এন এইচ.

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close