সাভারস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিককে নাটোরে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আশুলিয়ার এক নারী পোশাক শ্রমিককে নাটোরে ডেকে এনে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ আগস্ট) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ওই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া ওরফে রাশেদুল (২৫), সদর উপজেলার বড়হরিশপুর এলাকার আব্দুল কাদের পাটোয়ারীর ছেলে রুবেল (২৫), একই এলাকার হানিফ মণ্ডলের ছেলে ফারুক (২৭) ও শফিকুল শেখের ছেলে সাদ্দাম (২৬)।
ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক শ্রমিকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা কদমতলী গ্রামে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে সাভারের আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন ওই পোশাক শ্রমিক। সম্প্রতি নিজ বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আরপি পরিবহনে ঢাকা যাওয়ার পথে গাড়ির হেলপার রাশেদুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাশেদুল বিয়ের আশ্বাস দিলে গত ১৩ আগস্ট নাটোর শহরের বড় হরিশপুরে আসেন ওই পোশাক শ্রমিক। সেখান থেকে তাকে নলডাঙ্গার পাটুল গ্রামে নিয়ে যায় রাশেদুল। স্থানীয়রা তাদের সন্দেহ করলে রাশেদুল পাটুল থেকে চলে আসে এবং ওই পোশাক শ্রমিককে সেখানে আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখে।
পরদিন ওই পোশাক শ্রমিক নাটোর শহরে এলে রাশেদুল তাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে সন্ধ্যার পর রাজীবপুরে নিয়ে আসে। সেখানে নির্জন একটি রাস্তার সামনে এলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রুবেল, ফারুক ও সাদ্দাম ওই নারীকে জোর করে একটি পরিত্যক্ত খামারে নিয়ে যায়। এ সময় রাশেদুলসহ অন্যরা তাকে গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণের পর ফারুক ও রুবেল তাকে সাভারের একটি বাসে তুলে দেয়ার জন্য হরিশপুর বাস টার্মিনালে নিয়ে আসে। এ সময় উপস্থিত মানুষের সামনে চিৎকার করেন ওই নারী। এতে ফারুক ও রুবেল মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ফারুক ও রুবেল পালানোর পর স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারী থানায় এসে চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে যায় এবং রোবাবর সকালে তাদের হরিশপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।