দেশজুড়ে
আবার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্যা বিষয়ে সতর্কতার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতির তাগাদা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসছে ভাদ্র মাসে ফের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সেজন্য ধান-চালের ঘাটতি এড়াতে রোপা আমনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে এজন্য একটু উঁচু জায়গায় করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে পানি সহিষ্ণু ভ্যারাইটির বিষয়টি।
মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে গতকাল এই নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভায় সভাপতিত্ব করেন। অন্যদিকে সচিবালয় প্রান্ত থেকে ছয়জন মন্ত্রী সংযুক্ত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদের এ বৈঠকে ৫টি এজেন্ডা নির্ধারিত ছিল।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তারা যে নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন সেটা ১৫ দিন পানির নিচে থাকলেও নষ্ট হবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আজকে (গতকাল) যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের ওখানে অলরেডি বিপৎসীমার বেশ নিচে চলে গেছে। পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমেছে। তবে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রেডিকশন আছে যে আপে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পার্টিকুলারলি এ বিষয়ে সতর্ক করে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু লং টাইমে, এটা প্রিভেইল (বিরাজ) করার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রোপা আমন ঠিকভাবে হলে আমাদের সর্টেজ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। সর্টেজ একচুয়ালি হবে না গতবারের তুলনায়। গতবার আমনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন। এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন। কোনো কারণে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা কম হলেও গতবারের তুলনায় উৎপাদন বেশি হবে ইনশাআলস্নাহ।
বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির বিষয়টি উলেস্নখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বলেন, আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম বিশেষ করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম আছে, একটা প্রোজেক্ট রয়েছে। সেই প্রোজেক্ট তিনটি কম্পোনেন্টে ইমপিস্নমেন্ট করার কথা আছে। একটা হলো- ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ঘরবাড়ি রিহ্যাবিলিটেশন করবে। আরেকটা হলো- স্থানীয় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে ইনক্লুড করা আছে। সেখানে একটা বড় টাকা ধরা আছে- কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে ওটাকে তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা ম্যাসিভ এগ্রিকালচারাল রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম আছে।
দেশে এরই মাঝে কয়েকদফা বন্যা হয়েছে। এখনো বন্যার পানি সব অঞ্চল থেকে পুরোপুরি নামেনি। এ অবস্থায় আবারও ভাদ্র মাসে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
/আরএম