দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
মিউজিক ভিডিওর মডেল তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মিউজিক ভিডিওতে মডেলিং করার জন্য গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে পঞ্চগড়ে ডেকে এনে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পঞ্চগড়ের বোদা থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই মডেল তরুণী
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া।
এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে মামলার প্রধান দুই আসামি বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকী ও প্রথম বাংলা আইপি টিভির চিফ নিউজ এডিটর সাজ্জাদ হোসেন মিলনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে নেওয়া হয়। এ মামলার আরেক আসামি হলেন, বোদা নগরকুমারী এলাকার জসীম উদ্দিন (২২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী কালিয়াকৈর এলাকায় থাকেন। ইউটিউবের জন্য বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন। পাঁচ বছর আগে ঢাকায় পরিচয় হয় পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার ঝিনুকনগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মিলনের সাথে। মিলন ‘প্রথম বাংলা টিভি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন।
সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে মিলন নিজ এলাকা বোদায় একটি মিউজিক ভিডিও তৈরির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করতে ওই তরুণীকে যেতে বলেন। গত মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে বোদায় পৌঁছান ওই তরুণী।
মিলন তাকে নিয়ে যায় বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীর বাড়িতে। সেখানেই সাজ্জাদসহ ৪-৫ জন মিলে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করেন।
পরদিন বুধবার (১৫ জুলাই) তাকে বোদা পৌরসভার ভাসাইনগরে এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। এক পর্যায়ে সেখান থেকে পালিয়ে বোদা থানায় আশ্রয় নেন। বুধবার রাতেই বোদা থানায় মামলা করেন ওই তরুণী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডও আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় অনেক বিষয় বেরিয়ে আসছে। আমরা ধারণা করছি এই ঘটনার সাথে পুরো একটি চক্র কাজ করছে। আদালত আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে। আমরা পুরো চক্রটিকেই ধরার জন্য কাজ করছি। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
/এন এইচ