দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে মেট্রোরেলের কাজ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে মেট্রোরেলের কাজ। প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলছেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে যাতে পুরোদমে কাজ শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা। প্রকল্প এলাকায় একটি ফিল্ড হাসপাতালের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরুক্ষা নিশ্চিতে দুইটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। স্টেশন ফ্রেবিকেশনসহ কম লোকবল লাগে আপাতত এমন সব কাজ হচ্ছে প্রকল্প এলাকায়। জাপানের সঙ্গে বিমান ও নৌ যোগাযোগ চালু হওয়ার পর কোচ পৌছলেই মেট্রোর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করা যাবে বলেও নিশ্চিত করেন মেট্রো ব্যবস্থাপক।

দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেলের ডিপো এলাকা থেকে মতিঝিলগামী যে উড়াল পথ শুরু হয়েছে তাতে স্থায়ী রেললাইন বসানোর কাজের প্রস্তুতি চলছিলো। দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মার্চের শেষদিকে বন্ধ হয়ে যায় মাঠ পর্যায়ের কাজ। দুই মাসেরও বেশি সময় পর আবার শুরু হয়েছে নির্মাণ কাজ, সীমিত পরিসরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে। নতুন করে কাজ শুরু করার আগে থাকতে হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। নিয়মিত করা হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, করোনা টেস্ট।

দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন বলেন, ‘এ সময় যদি কেউ ছুটিতে যান তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করছি।’

৭০ নম্বর পিয়ার এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন ভবন। কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা পরিস্থিতিকে মেনে নিয়েই তারা কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। মালিকানাধীন কোম্পানী,পরামর্শক ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, প্রজেক্টের কর্মচারী কর্মকর্তাদের নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে একাধিক বিকল্প গ্রুপ- যাতে প্রকৃতপক্ষে সঙ্গনিরোধ করা যায়।

ঢাকা মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘কয়েকটা হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, নিজেরা ফিল্ড হাসপাতাল করার চেষ্টা করছি।’

উত্তরা উত্তর স্টেশনের কিছু আগে ভায়াডাক্টের ওপর সার্ভে করছেন কিছু ইটালিয়ান প্রকৌশলী। ২ ও ৩ নম্বর স্টেশনেও ফেব্রিকেশনের কাজে রত ভারতীয় প্রকৌশলীরা। মিরপুর ডিওএইচএস পর্যন্ত এমন নানা কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে বিদেশিদের। তবে এর কিছুটা ছন্দপতন হচ্ছে ১২ জন জাপানি পরামর্শকদের অনুপস্থিতিতে।

ঢাকা মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, তারা ফ্লাইট চালু হওয়া মাত্র আসবেন।

মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত অংশের ১১ কিলোমিটার উড়ালপথ নির্মাণ শেষ হয়েছে। প্রথম অংশের কাজের অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজও শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এ অংশের বাস্তব অগ্রগতি ৪০ শতাংশ।

কথা ছিলো এই জুন থেকেই শুরু হবে ট্রায়াল রান। এ পথে চলাচল শুরু করবে মেট্রোরেল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি ওলটপালট করে দিলো অনেক কিছুই। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রায়াল রানের জন্য জাপানের কারখানায় প্রথম সেট কোচ তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম সেট কোচ। সংকট কেটে গেলেই সমুদ্রপথে যা জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close