দেশজুড়ে
যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়, এএসআই প্রত্যাহার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ টিকিট থাকা সত্ত্বেও ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়ের ঘটনায় রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশের (জিআরপি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আকসাতুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) তাকে প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে পাকশী রেলওয়ের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলামের নির্দেশে এএসআই আকসাতুর রহমানকে রাজবাড়ী থেকে প্রত্যাহার করে পাকশীতে নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেসের টিকিট থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করেন রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশের এএসআই আকসাতুর রহমান।
ট্রেনের যাত্রীরা জানান, এএসআই আকসাতুর রোববার টাকা তুলতে এসেছেন। একেক দিন একেকজন পুলিশ সদস্য টাকা তোলেন। তারা সবাই রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশের সদস্য।
ট্রেনযাত্রী মো. বাচ্চু বলেন, আমি পাংশায় থাকি। রাজবাড়ীতে যাওয়ার জন্য দুটি টিকিট কেটেছি। আমার কাছে ২০০ টাকা চেয়েছে পুলিশ। টাকা দেইনি। তাই আমাকে কালুখালীতে নামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
খোকশা থেকে আসা যাত্রীরা জানান, তারা গোয়ালন্দের টিকিট কেটেছেন। প্রতিটি টিকিটের দাম ৬২ টাকা করে রাখা হয়েছে। কোথাও জায়গা না পেয়ে মালামালের বগিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছে পুলিশ। টিকিট দেখালে পুলিশ জানায়, এর কোনো দাম নেই। টাকা দিতে হবেই।
এদিকে, টিকিট থাকা সত্ত্বেও ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়ের পর বিষয়টি কালুখালী রেলস্টেশনের মাস্টার ও রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসিকে জানান যাত্রীরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হোসেন বলেন, আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এএসআই আকসাতুর রহমানের বিরুদ্ধে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। যার প্রেক্ষিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এএসআই আকসাতুর রহমানকে রাজবাড়ী থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে রেলওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।