ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও আইসোলেশনের নিয়ম ভেঙে বাইরে গিয়ে আসামিসহ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যাওয়ায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করে নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
তার যায়গায় নতুন ওসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে।
গেল ৯ জুন জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দেন পরীক্ষার জন্য। ১৫ জুন তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিশ্চিত করা হয়। ওই দিন থেকেই তাঁর থানার আবাসিক ভবনের নিজ কক্ষে আইসোলেশনে থাকার কথা।
তবে আইসোলেশনের নিয়ম ভেঙে ১৭ই জুন বুধবার সোনামুড়ীর মাদ্রাসাছাত্র আবুল বাশার সাইমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মীর হোসেন মীরাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের একটি দল। ঐদিন বিকেলে ওসি আবদুস সামাদ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও আইসোলেশনের নিয়ম ভঙ্গ করে ওই আসামিকে নিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধারের জন্য যান। বিষয়টি সন্ধ্যা নাগাদ জানাজানি হয়। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওসিকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের কোভিড-১৯ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ওসি করোনায় আক্রান্ত হয়েও আইসোলেশনে না থেকে আসামি নিয়ে অভিযানে গিয়ে সরকারি বিধি ভঙ্গ করেছেন এবং অন্যদেরকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। তাই তাকে প্রত্যাহার করে নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে এবং তার যায়গায় নতুন ওসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।