ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট অব কোলয়েডস অ্যান্ড ইন্টারফেসেসের জার্মানি ও ডেনমার্কের গবেষকরা মাদাগাস্কারের দাবিকৃত কোভিড-১৯ সারাতে সক্ষম ভেষজ পানীয়টি পরীক্ষা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের আর্টেমিলাইফের সহায়তায় তারা আর্টেমিসিয়া অ্যানুয়া ও আর্টেমিসিনিন উদ্ভিদের নির্যাস করোনার চিকিৎসায় কার্যকর কি না তা পরীক্ষা করবেন।
আর্টিমিসিয়া এর আগে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এটি নিয়ে নতুন গবেষণায় নেতৃত্ব দানকারী পিটার সিবার্জার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ চিকিৎসার সঙ্গে এ উদ্ভিদের নির্যাসের কোন যোগসূত্র আছে কি না সে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের এটাই প্রথম অনুসন্ধান।’
গত মাসে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোলিনা আর্টেমিসিয়ার সঙ্গে অন্যান্য ভেষজ গাছের সংমিশ্রণে তৈরি একটি ‘আজব পানীয়’ পাওয়ার ঘোষণা দেন। তার দাবি, এটি পান করলে কোভিড-১৯ রোগ সেরে যায় বা মানুষ করোনা প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। ইতোধ্যেই দু’জন এই পানীয় পান করে সুস্থ হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এরপর থেকেই মাদাগাস্কারের রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিষ্ঠান মালাগাসি ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লায়েড রিসার্চে ব্যাপক হারে ‘কোভিড-অর্গানিকস’ নামের এই পানীয় উৎপাদন শুরু হয়। ইতোমধ্যেই অন্তত ১৪টি আফ্রিকান দেশ তাদের কাছ থেকে পানীয়টি নিয়েছে।
আফ্রিকান দেশগুলো মাদাগাস্কার সরকারের ওপর ভরসা রেখে পরীক্ষা না করেই কোভিড-অর্গানিকস ব্যবহারের ঘোষণা দিলেও এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।তারা বলছে, আর্টেমিসিয়া থেকে সংগৃহীত যৌগ উপাদানগুলো ম্যালেরিয়া সারাতে কার্যকর, সরাসরি এই গাছ ব্যবহার নয়। সেক্ষেত্রে কার্যকারিতা পরীক্ষা না করেই কোনও বস্তু বা তথাকথিত ওষুধ গ্রহণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া আফ্রিকার আরেক দেশ নাইজেরিয়াও জানিয়েছে, পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া তারা কোভিড-১৯ অর্গানিকস ব্যবহার করবে না। তবে এসব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে এখনও আজব পানীয় পানের পক্ষে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, মাদাগাস্কারের মতো একটি দেশ বিশ্ব রক্ষার ফর্মুলা আবিষ্কার করেছে এটি সবাই মানতে পারবে না। সূত্র: সিজিটিএন
/এন এইচ